অনলাইন ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের ওপর ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা চেপে বসেছে। এত বিশাল ঋণ কীভাবে পরিশোধ করা হবে তা নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই বিষয়ে সমাধানের জন্য ঋণদাতাদের সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
১৮ লাখ কোটি টাকার ঋণের উল্লেখ করে তা পরিশোধের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওটা বড় প্রেসার, প্রচণ্ড প্রেসার। কারণ এগুলো দিয়েছে ওরা চুক্তি করে। ডোনারদেরকে বলতে হবে এটি বিরাট প্রেসার। আমরা এগুলো রিভিউ করছি, দেখছি। আমরা এটি নিয়ে সতর্ক আছি। আমাদের নিজেদের মধ্যেও এটি নিয়ে কথা হচ্ছে। এত বড় ঋণের বোঝা নিয়ে শুরু করেছি, আমাদের জন্য খুব কঠিন। ঋণ নিয়ে ফেরতের বিষয় আছে। এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার এখন এসব ঋণের সুদ ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়াতে ডোনারদের অনুরোধ করেছে।
চীন থেকে উচ্চ সুদহারে নেওয়া ঋণের সুদের পরিমাণ কমানো ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রিপেমেন্ট পিরিয়ড আরও ১০ বছর বাড়ানোর জন্য বলেছি। রেট অব ইন্টারেস্ট কমানোর কথা বলেছি। তারা সম্মত হয়েছে যে তারা বেইজিং হেডকোয়ার্টারে আমাদের কনসার্নটা পৌঁছে দেবে এবং তারা শিগগিরই আমাদের জানাবে।’
এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট বাতিলের গুঞ্জন নিয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এগুলো নিয়ে হা বা না কিছু বলাই ঠিক না। আমরা বলি এটা থাক। এটা কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। সহজে এগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।’
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে কিছু ইস্যু আছে, কানাডার সঙ্গে কিছু ইস্যু আছে। এগুলোর আলোচনা খুব বিস্তারিত করিনি। অন্য অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে।’
এসময় চীনা অর্থায়নে বাংলাদেশে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেসব প্রকল্প চলমান থাকবে বলে জানান চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।