বুক পেতে দেব, নিজের জান দেব : মিনু

স্টাফ রিপোর্টার : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মত গুলি করে হত্যা করবে; আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমরা নিজের জান দেব।

আমাদের উপরে গুলি করুক। আমাদের জীবনের শেষ সময়। কিন্তু তাদেরকে (শিক্ষার্থী) আমরা হত্যা হতে দেব না। প্রয়োজনে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বুক পেতে দেব।’

রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদকিদের এ কথা বলেন তিনি। মিনু নিজেই লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তার পাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের সুখে-দুখে পাশে ছিলাম। রাজশাহীবাসীকে আমরা অনুরোধ করব- ছাত্র সমাজের অসহযোগ আন্দোলন, এটা আজকে জাতির মুক্তির আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলনে তারা যা যা অনুরোধ করেছে তার সবকিছু মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ   রাসিকের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

অভিভাবকরা মা হিসেবে, কেউ বাবা হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি বিএনপির উপদেষ্টা হিসেবে আমার নৈতিক সমর্থন আছে। আমাদের মহাসচিব সাহেব বলে দিয়েছেন সকল নেতা-কর্মীদের এই আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার। সবাই আমরা সব কিছুতে পাশে থাকব।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হামলা কেনো করবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে। অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে অনেকে কিছু হয়তো ভুল করে বসে। আমি তাদের মুরব্বি হিসেবে বলব- জ্বালাও পোড়াও এর পথে কেউ যেনো না যায়। অনেক সময় হয় কী, আন্দোলনের সময় আশে পাশে অনেক লোকজন ঢুকে যায়।

আরও পড়ুনঃ   পবার নওহাটায় বিএনপি ও জামায়াতের সহযোগিতায় শীতার্ত ও দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ

আমি তো অনেক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমরা মূল নেতৃত্ব ছিলাম।’
মিনু বলেন, ‘আমার সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করে। তার বন্ধুরা শহিদ হয়ে গেছে। তার রুমমেট ছিল আদনান। কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি পাবে। তবে আমি আমার ছেলেদের সেই শিক্ষা দেয়নি। আমার ওয়াইফ (স্ত্রী) সে মা হিসেবে গিয়েছিল আন্দোলনে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. ওয়াসিম হোসেন প্রমুখ।