রাজশাহীতে থানা, খাদ্যগুদাম, ভূমি অফিস ও আ.লীগ কার্যালয়ে আগুন

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে মোহনপুর থানা, সরকারি খাদ্যগুদাম, ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের দুটি এবং উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা এ সহিংসতা চালায়। বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা কেশরহাট পৌরসভার দিকে অবস্থান নেয়। সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে মোহনপুর থানা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একদিলতলা হাটে অবস্থান করে। সেখানে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে তারা উপজেলা সদরের দিকে চলে যায়। এরপর প্রথমেই তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কার্যালয়টির ভেতরের সবকিছুই পুড়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ   তানোরে কামারগাঁ ইউপির উপ-নির্বাচনে দুইজনের মনোনয়ন প্রত্যাহার

এ সময় থানার সামনের বিভিন্ন স্থাপনা ও গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এতে থানার দুটি গাড়ি পুড়ে যায়। এরপর আন্দোলনকারীরা থানার পাশে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে এসি ল্যান্ডের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পরে আন্দোলনকারীরা উপজেলা খাদ্যগুদামে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়। ভাঙচুর করা হয় ইউএনও কার্যালয়ও। এরপর উপজেলা সদর থেকে সরে আন্দোলনকারীরা কেশরহাট পৌর এলাকায় অবস্থান নেয়।

আরও পড়ুনঃ   শীর্ষ কর্মকর্তারা লাপাত্তা, রামেবিতে অচলাবস্থা

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের থানার সামনে বিভিন্ন স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দুটি গাড়িও পুড়েছে। তবে আগুন থানার ভেতরে যায়নি। আর কোথায় কী কী সহিংসতা চালানো হয়েছে, তা এখনো বলতে পারছি না। আমরা থানায় ব্যস্ত আছি।’

মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, ‘থানা, ভূমি অফিস, খাদ্যগুদাম ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমার অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তারা এখন পৌরসভার দিকে গেছে। পরিস্থিতি খুব উত্তপ্ত। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।’