খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক : খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আরও ২০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

নিহত পুলিশের নাম সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। সুমন শোলাডাঙা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী ছিলেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুমনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত ২০ জনকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   সারা দেশে ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম চালু

তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিছু ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে আওয়াজ তুলে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে চেয়েছে। সরাসরি কাউকে আঘাত করা হয়নি। কিন্তু পুলিশ সদস্য ফিরে আসার সময় আন্দোলনকারীরা একজনকে পিটিয়ে নিহত ও অন্যদের আহত করলো।

মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেললো।

খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর চার পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজন মৃত ছিল। তার মরদেহ হাসপাতালের লাশঘরে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   সংবিধান সময়োপযোগী করার পরামর্শ ড. কামাল হোসেনের

খুলনার জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তিন দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এদিকে, আন্দোলনকারীরা সন্ধ্যায় নগরীর শেরেবাংলা রোডে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।