অনলাইন ডেস্ক : চোট জর্জরিত ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারে। প্যারিস অলিম্পিকে এক সপ্তাহের নাটকীয়তা শেষে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে মারে-ড্যান ইভান্স জুটি। যুক্তরাষ্ট্রের টমি পল ও টেইলর ফ্রিটজ জুটির কাছে তারা ৬-২, ৬-৪ সেটে হেরেছেন। এরপরই টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী তিনবারের গ্র্যান্ডস্লামজয়ী মারে।
তবে বিদায়বেলায় ক্যারিয়ার নিয়ে গর্বের অনুভূতির কথাই বললেন তিনি। এবার হতাশাজনক বিদায় হলেও, এর আগে দুইবার অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছেন মারে। এবারও প্যারিসে তিনি প্রথমে একক এবং দ্বৈত উভয় বিভাগেই অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পরে অংশ নেন কেবল দ্বৈত বিভাগে।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে মারে বলেন, ‘ভালো অনুভূত হচ্ছে। আমি কয়েক মাস ধরে ভাবছিলাম, এই (অবসর) সময়টি আসছে। যদি আজ না হয়, ঠিক দু’দিন পরই সময়টা আসত এবং আমি তার জন্য প্রস্তুত। অবশ্যই এটি আবেগঘন মুহূর্ত, শেষবার কোনো প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলছি। তবে আমি আমার ক্যারিয়ার, আমার অর্জন এবং এই খেলা যা কিছু দিয়েছে তা নিয়ে গর্বিত। যেভাবে শেষ হলো, এতে আমি খুশি।’
গত মার্চে লিগামেন্টের ইনজুরি এবং জুনে উইম্বলডনের আগেই ব্যাক সার্জারিতে যেতে হয় মারেকে। যা তাকে ক্যারিয়ারজুড়েই ভুগিয়েছে। চোটজর্জর এই কঠিন অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই কঠিন। শারীরিকভাবে খুবই ব্যথা (সইতে হয়), যা মানসিকভাবেও দুর্বল করে দেয়। তা সত্ত্বেও এই প্রতিযোগিতায় বড় লক্ষ্য নিয়ে কোর্টে নেমেছিলাম। মেডেল রাউন্ডের খুব কাছাকাছিও ছিলাম, তবে যা হয়েছে ঠিক আছে। তবে আমার ব্যথা ও শারিরীক অস্বস্তি ভালো অবস্থায় নেই।’
এর আগে মারে পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৫ সালে। এরপর থেকে ৩৭ বছর বয়সী মারে মোট এক হাজার একটি এককের ম্যাচ খেলছেন, সঙ্গে খেলেছেন অনেক দ্বৈতের ম্যাচ। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে ৪৬টি এটিপি শিরোপা জয়ী মারে ২০১৫ সালে ব্রিটেনকে ডেভিস কাপ জয়েও নেতৃত্ব দেন তিনি। প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতেন ২০১২ সালের ইউএস ওপেনে। এরপর ২০১৩ ও ২০১৬ সালের উইম্বলডনের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন তিনি।
পরবর্তীতে অসংখ্যবার চোট আঘাত হেনেছে মারের শরীরে। যে কারণে বারবার কোর্টের বাইরে ছিটকে পড়েছেন। ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরেছেন কোর্টে; কিন্তু পুরোনো ছন্দ আর ফিরে পাননি তিনি। মারে একক বিভাগে অলিম্পিক্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২০১২ ও ২০১৬ আসরে।