জামিনে কারামুক্ত হলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল

অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ ২০ দিন কারাভোগের পর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. ঈসমাইল হোসেন (৩৫)। এতে তার পরিবার, সহকর্মী ও অনুসারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় জামিন লাভের পর তিনি ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।

এর আগে এদিন দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে মামলার শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মমতাজ বেগম ঈসমাইলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম মাইনুল হক মিলন বলেন, বাদীর অভিযোগের সঙ্গে ভিকটিমের জবানবন্দি সাংঘর্ষিক। মূলত ভিকটিম ঈসমাইলের দ্বিতীয় স্ত্রী। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি মহলের প্ররোচণায় এই মামলাটি দায়ের হয়েছে। তবে মামলার শুনানি শেষে আদালতে বিজ্ঞ বিচারক আমার মোক্কেলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ   হলিউডের এই জুটিগুলো কেন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়

ঈসমাইলের ছোট ভাই এনামুল হক বলেন, মিথ্যা ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলাটি করা হয়েছিল। পরে ভিকটিম আদালতে এসে তার জবানবন্দিতে নিজেকে ঈসমাইল ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে স্বীকার করেছেন। এর মধ‍্য দিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করছি মামলার চূড়ান্ত রায়েও রায় ন্যায়বিচার পাব।

এদিকে জামিন লাভের পর ঈসমাইলকে কারাগারের ফটকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার সহকর্মী ও স্বজনরা। এ সময় অভিনেতা মো. ফিরুজ আলম, ঈসমাইলের ছোট ভাই এনামুল হকসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ   যে নারীর অনেক গুণ, তার সঙ্গী পাওয়া মুশকিল : স্বস্তিকা

ফিরুজ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈসমাইল ভাই জামিনে মুক্ত হওয়ায় আমরা খুশি। এখন দেশবাসী ঈসমাইল ভাইয়ের আরও ভালো ভালো কনটেন্ট ভিডিও দেখতে পারবেন বলে আশা করছি।

এর আগে গত ১০ জুলাই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইসমাইলকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ওই দিনই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

ঈসমাইল হোসেন হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. সুরুজ আলীর ছেলে। তার দাম্পত্য জীবনে দ্বিতীয় স্ত্রী ছাড়াও প্রথম স্ত্রীসহ দুটি সন্তান রয়েছে।