জুলাই মাসে রাজশাহীতে ১৫ নারী ও শিশু নির্যাতিত: লফস

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) রাজশাহী জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়। জুলাই মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র – পুঠিয়া উপজেলার জিউ পাড়া ইউনিয়নে মেঘলা (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, নগরীতে এক কিশোরীেেক ধর্ষণের অভিযোগ, নগরীতে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এক রিকশা চালকের বিরুদ্ধে, নগরিতে সাবিহা মালিয়াত রুহি নামে এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ তার কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে, বাগমারায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১০ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপের হুমকি, পবা উপজেলায় তানজির আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর কে মারপিটের অভিযোগ, পুঠিয়া উপজেলায় মাহফুজা বেগম (৩৫) নামে এক নারী নির্যাতনের শিকার, মোহনপুরে স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার এক নারী, নগরীতে এক নারী যৌন হয়রানির শিকার, বাঘা উপজেলায় সাগরিকা আক্তার (১৯) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ, বাঘায় এক নারী পর্ণগ্রাফির শিকার, তানোরে সাথী বেগম (২২) নামে এক নারী কে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, পুঠিয়ায় রেশমা বেগম (৩৫) নামে এক নারী নির্যাতনের শিকার, দুর্গাপুরে এক নারী নির্যাতনের শিকার, তানোর উপজেলার চিনোশা এলাকায় এক প্রতিবনাধী নারী (২১) ধর্ষণের শিকার। ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। জুলাই মাসে দেশে কোটা আন্দোলন গিরে অস্তিরতার মাঝেও থেমে নাই জঘন্যমত অপরাধ নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা। রাজশাহী অঞ্চলে নারী-শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।