বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। শনিবার (২৭ জুলাই) এই কাচা রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে বেকায়দায় পড়তে হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাস্তা পার হতে হয়। এমন ঘটনা প্রতিদিনের চকরাজাপুর ইউনিয়নের আটটি চরের মানুষের।
জানা গেছে, উপজেলার খায়েরহাট হালিম মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর খেয়াঘাট নৌকায় পার হয়ে এক কিলোমিটার কাচা রাস্তা বেয়ে চকরাজাপুর পাকা রাস্তায় উঠতে হয়। এই রাস্তা পার হতে গিয়ে অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর, কালীদাসখালী, লক্ষ্মীনগর, দাদপুর, উদপুর, পলাশী ফতেপুর, নিচ ফতেপুর পলাশীসহ আটটি চরের ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে। একটু বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিণত হয়। আটটি চরের মানুষ কয়েকবার রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য বিভিন্নস্থানে আবেদন করেও কোন সুরাহ হয়নি। ফলে তারা কাদার মধ্যেই চলাচল করতে হয়। এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন চরবাসি।
কালিদাসকালী চরের অটোচালক মোহাম্মদ আবু আলী বলেন, একটু বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। একটু বৃষ্টি হলে কাদার ভয়ে অটো বের করতে পারি না। গরীব মানুষ অটো না চালালে সংসারও চলে না। বাধ্য হয়েই অটো রাস্তায় বের করতে হয়। সারাদিন রাস্তায় অটো চালিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে হলে এই কাদা পার হতে হলে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া যাওয়া যায় না।
স্থানীয় এক কৃষক আজগর আলী শেখ বলেন, মাঠে আমার জমি আছে। এই জমির আবাদ বাড়িতে আনতে গেলে কাদার মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। কোন কোন সময় ভ্যানে আনতে হলে এই সামান্য রাস্তার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। এই রাস্তাটুকুর জন্য অনেক কষ্টে আছি। রাস্তাটি পাকা হওয়া অতিজরুরি।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে আমি নিজেও কয়েকবার বিভিন্নস্থানে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে এর আগে এই রাস্তায় মাটি কাটা হয়েছিল। বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার মানুষ অনেক কষ্ট করে চলাচল করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে অবগত রয়েছি।