স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান। উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন দেশের মানুষ। দেশের উন্নয়নের কারণে বিএনপি-জামায়াতের গাত্রদাহ হচ্ছে। উন্নয়নে গাত্রদাহ থেকেই দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে নগর ভবনের সিটি হলরুমে বোয়ালিয়া (পূর্ব), বোয়ালিয়া (পশ্চিম), শাহ মখদুম ও রাজপাড়া (আংশিক) থানা আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে যখন সরকারের মন্ত্রীদের আলাপ-আলোচনা চলছিল, সেই সময়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব হাইজ্যাক করে নেয় বিএনপি-জামায়াত-ছাত্রশিবির। এরপর দেশের উন্নয়নমূলক অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সন্ত্রাসীরা। ঢাকায় সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গাড়ি গান পাউডার দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
তিনি আরো বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই যেকোন ধরনের অরাজকতা ঠেকাতে প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাসীসহ অপশক্তিকে শক্তিহাতে মোকাবেলা করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে। অতীতেও আমাদের বিজয় হয়েছে। এবারো আমরা লড়বো এবং আমরাই জিতবো।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন ও শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা. তবিবুর রহমান শেখ ও বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার ও মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ধর্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আখতারুল আলম, আব্দুস সালাম, মজিবুর রহমান, ইউনুস আলী ও মোখলেশুর রহমান কচি, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।