খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য

তাবাসুম হক : দেশ স্বাধীনের পর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে আমাদের বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। আর অর্ধ দশকেরও বেশি সময় পরে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাশ হয়েছে। এটি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ২১তম বাজেট।বাজেটে শিক্ষা,স্বাস্থ্য, যোগাযোগ,সামাজিক নিরাপত্তা,অবকাঠামো উন্নয়নসহ কৃষিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।মোট বাজেটের ৩.৮ শতাংশ কৃষিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমাদের মোট বাজেটের মাত্র ৩৬ শতাংশ ব্যয় হয় উন্নয়ন খাতে। বাকি ৬৪ শতাংশ ব্যয় হয় সরকার পরিচালন খাতে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটে কৃষি উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল মোট উন্নয়ন বরাদ্দের ২০ শতাংশ অর্থ। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৭ শতাংশে।

দেশের জনসাধারণের দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টেকসই, নিরাপদ, লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। রূপকল্প ২০৪১, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০, জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮, জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০, জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি ২০২০, বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা ২০২০, জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি ২০২৩ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে কৃষিখাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে চলমান বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতের বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার এবং কর্মসংস্থানের অন্যতম অবলম্বন কৃষিখাত। এখনো দেশের শতকরা প্রায় ৪৫ ভাগ শ্রমিক কৃষি খাতে নিয়োজিত। শিল্প ও সেবা খাতের অগ্রগতি অনেকাংশে কৃষিখাতের অগ্রগতির ওপর নির্ভরশীল।বর্তমানে দেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১১.৩৮ শতাংশ। মোট রপ্তানিতে কৃষিজাত পণ্যের শরিকানা প্রায় ৩ শতাংশ। এর সঙ্গে হিমায়িত মৎস ও পাটজাত দ্রব্য যোগ করা হলে মোট রপ্তানিতে কৃষির হিস্যা প্রায় ৭ শতাংশ। বর্তমান অর্থবছরে কৃষিবিষয়ক পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট বাজেটের ৫.৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে শস্য কৃষি খাতের জন্য রাখা হয়েছে ৩.৮ শতাংশ। অবশিষ্ট বরাদ্দ মৎস ও প্রাণিসম্পদ, বন ও পরিবেশ, ভূমি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সমূহের জন্য রাখা হয়েছে।
গতপ্রায় দুই বছর ধরে অর্থনীতির বিভিন্ন খাত যে সংকট মোকাবিলা করছে, সে তুলনায় কৃষি খাতে সংকট কম ছিল। গত ১১ মাসে গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.৬৭ শতাংশ। পেঁয়াজ থেকে শুরু করে কৃষিপণ্যের আমদানি কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়েছে। একই সঙ্গে সবজি থেকে শুরু করে দেশে উৎপাদিত সব ধরনের কৃষিপণ্যের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এতে কৃষকসহ কৃষিখাতের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষই কমবেশি লাভবান হয়েছে। যার ফলে এ খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। আবার কৃষি খাতের উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য সরকারেরও নেওয়া নানা পদক্ষেপও এ খাত সংশ্লিষ্টদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
কৃষির বিভিন্ন উপখাতে ক্রমাগতই উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং সবার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে এবং তা টেকসই করতে হলে এই প্রবৃদ্ধির হার আরো গতিশীল করা দরকার। সে কারণে কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো উৎপাদন গত অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া চলতি বছর বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ২২ লাখ টন। উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ১৫ লাখ টন। উৎপাদন হয় ২ কোটি ৭ লাখ টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আট লাখ টন কম উৎপাদন হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গত মৌসুমে চার ক্যাটাগরিতে প্রায় ২১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে। আর এ প্রণোদনার আওতায় দেশের ২৭ লাখ কৃষক বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছে।আর সরকারের এই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এবার বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকের মধ্যে বোরো আবাদে আগ্রহ ছিল বেশি। যদিও সেচ, সার, বীজ, কীটনাশকসহ সব কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে,তারপরও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আমনের উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টন বেশি ছিল। গত মৌসুমে ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টন।
বাংলাদেশের কৃষিতে খুদে কৃষক আর পারিবারিক কৃষিই প্রাধান্য। দেড় কোটির বেশি খুদে কৃষকের বেশির ভাগইপারিবারিক কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অল্প কিছু মাঝারি কৃষক পারিবারিক কৃষিতে জড়িত। কৃষিখাতের চিরায়ত সমস্যাগুলো কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্য, অপ্রাপ্যতা, নিম্নমান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংরক্ষণ সমস্যা ও উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া ইত্যাদি। এগুলোর কারণে বৃহৎ ও মাঝারি শ্রেণির কৃষকরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন না। এসব সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্তহনখুদেওপারিবারিককৃষক।

আরও পড়ুনঃ   স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা

বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৩২ লাখ। এদের বৃহদংশই দরিদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন।গ্রামীণনারীদেরঅধিকাংশ, অন্তত৭০শতাংশপ্রত্যক্ষবাপরোক্ষভাবেকৃষিকাজে যুক্ত। আপাতদৃষ্টিতে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিকে নারীর ক্ষমতায়ন মনে হলেও এর নেপথ্যে রয়েছেস্বল্প মজুরি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করানোর সুযোগ। দারিদ্র্যের শিকার আদিবাসী মানুষের অধিকাংশইভূমিহীন। আদিবাসীসহ সবাইকে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলকউন্নয়নসম্ভবনয়।গতএকদশকধরেকৃষিঋণেরপরিমাণবেড়েছেগড়েপ্রায়৮শতাংশহারে।কিন্তুতাতেপ্রান্তিকওবর্গাচাষিদেরঅন্তর্ভুক্তি তেমনবাড়েনি।এখনোপ্রায়৪০শতাংশকৃষকপ্রাতিষ্ঠানিকঋণেরআওতাবহির্ভূত।এদেরঅন্তর্ভুক্তিপ্রয়োজন।কৃষিবিমাচালুএবংদুর্যোগমোকাবিলাতহবিলগঠনকরাপ্রয়োজন।
স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণির দাদন ব্যবসা চলছে। এসব ব্যবসায়িরা ক্ষুদ্র ও আদিবাসী প্রান্তিক কৃষকদের উচ্চ সুদে ঋণ দেয়,যা ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে অনেক বেশি। সরকার এ সমস্যাগুলো বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি উপকরণে ভর্তুকি বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণ সহজলভ্য ও কৃষি ঋণের আওতা বৃদ্ধি এবং প্রাপ্তির পদ্ধতি সহজতর করা করেছে।ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টি চাহিদা পূরণ, সকল মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিসম্মত খাদ্য সরবরাহ ও প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, বাণিজ্যিক কৃষির বিকাশ, কৃষি নির্ভর শিল্পের প্রসার, কৃষিজ পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়েন সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে সরকার সময়োপযোগী নীতি, কর্মপরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ এখন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম স্থানে রয়েছে।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ধান ও ভুট্টাসহ সকল প্রকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা দ্রুততার সাথে সম্প্রসারণ করা এবং জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে বীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও সেচ কাজে সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈব সারের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি, সকল কৃষককে স্মার্ট কার্ড প্রদান, ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদান ও ই-কৃষি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক পর্যায়ে সার ও বীজসহ কৃষি উপকরণের মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) অব্যাহত রাখা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের নিকট পৌঁছানো, ‘সমলয় চাষাবাদ’ সম্প্রসারণ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি ও ফল উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। পতিত জমির ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষিসেবা সহজে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘কৃষি বাতায়ন’ চালু রাখার পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষিতথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, কৃষি কমিউনিটি রেডিও, কৃষক বন্ধু ফোন-৩৩৩১, ই-বুক, অনলাইন সার সুপারিশ, ই-সেচ সেবা, রাইস নলেজ ব্যাংক, কৃষিপ্রযুক্তি ভাণ্ডার, ই-বালাইনাশক প্রেসক্রিপশন, কৃষকের জানালা, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, কমিউনিটি রুরাল রেডিওসহ বিভিন্ন মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কৃষকদের দোরগোঁড়ায় কৃষিতথ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অনলাইন কৃষি মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ‘হর্টেক্স বাজার’ এবং ‘ফুড ফর নেশন’চালুকরা হয়েছে। উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কৃষিখাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি, সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা ও সহায়তা কার্ড, সেচের মূল্য হ্রাস, হ্রাসকৃত ভাড়ায় কৃষিপণ্য পরিবহণ, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষি ঋণ সুবিধা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অনুসারে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের খাদ্য ও পুষ্টি সমস্যার সমাধান করতে হলে কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৪ থেকে ৫ শতাংশ। গত ৪ বছর এই খাতে অর্জিত গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল বার্ষিক ৩.২ শতাংশে। এ হার বাড়ানোর জন্য সরকার নানা ধরনের কৃষিবন্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাস্তবায়ন শুরু করেছে ,যার সুফল ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
#
পিআইডি ফিচার