তানোরে রাস্তার সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

সাইদ সাজু, তানোর: রাজশাহীর তানোরে প্রভাবশালী প্রভাষক ও ক্ষমতা সীন দলের নেতার বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কয়েকটি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বুধবার জিওল দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও বরুজ গ্রামের বাসিন্দা আসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে একই গ্রামের আলহাজ্ব সৈয়দ আলী মিয়ার পুত্র প্রভাষক সোহরাব আলী মিয়া, সাবেক যুবলীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব মিয়া, বুলবুল মিয়া, মাহাবুর রহমান মুকুল মিয়া, শামসুল আলম জুয়েল মিয়া, আমিনুল ইসলাম আপেল মিয়া ও বুলবুলের পুত্র শাকিল, মৃত জাবেদ আলীর পুত্র কোরবান আলী ( কুড়্যানু) এবং রায়তান বাজে আকচা (বানিয়াপাড়া) গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র নাসির উদ্দীন (ভাদু)কে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তানোর পৌর এলাকার বুরুজ গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে উল্লেখ, তানোর পৌর এলাকার ১৩১ নম্বর বুরুজ মৌজার অন্তর্গত ৩৮০ নম্বর আরএস দাগে সরকারি রাস্তার নকশার প্রকৃত স্থান পরিবর্তন করে নিজের স্বার্থে অন্যপাশ দিয়ে ২০ ফিট বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণ করেছে। রাস্তার দুপাশে মেহগনি, ইউকালেক্টর ও তাল গাছ ছিল। যার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা হবে। গাছগুলো প্রভাষক সোহরাব আলী মিয়ার নির্দেশে কাটা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাশেম বাজার টু মোহনপুর রাস্তার বুরুজ ঘাট বেলি ব্রীজের পশ্চিম দিকে মুল রাস্তার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বিবাদী সোহরাব ও ওহাব মিয়াদের বাড়ি। বাড়ির পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে পাকা রাস্তা। রাস্তার এক কর্নারে বাঁশ দিয়ে ঘিরা আছে। সেখানেই দুটি তালগাছ কাটা হয়েছে। ওই জায়গার দক্ষিণে অভিযোগ কারী আসলাম উদ্দিনের নিজস্ব জমি রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক সোহরাব আলী মিয়া, ওহাব হোসেন লালু মিয়া ও জুয়েল মিয়া জানান, রাস্তার কোন গাছ কাটা হয়নি। আসলাম উদ্দিন জায়গা জমি মাপার জন্য আমিন এনেছিল। মাপার পর তার জমির সামনের পজিশন টি আমাদের পড়ে। মুলুত একারনে সে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। সে একজন প্রতারক। আমাদের নিজস্ব জায়গার উপরে গাছ ছিল সেগুলো কাটা হয়েছে।
অভিযোগ কারী সুপার আসলাম উদ্দিন বলেন, গত প্রায় ৩/৪ মাস আগে গাছগুলো কাটে। ওই সময় নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। নির্বাহী অফিসার পৌর মেয়রকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছিলেন। কিন্তু পৌর মেয়র ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আরব আলীর জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আরব আলী জানান, রাস্তা টি সোহরাব ও ওহাব হোসেন লালু মিয়াদের নিজস্ব জায়গা। তারা রাস্তা করার জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছে এটাই তো অনেক। রাস্তার গাছ কেটেছে সে জায়গা নাকি খাস জানতে চাইলে তিনি জানান এটা আমার জানা নেয়, তবে শুনেছি কিছু খাস থাকতে পারে।
এবিষয়ে তানোর পৌর সভার মেয়র ইমরুল হক জানান, বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে ফাইল দেখে বলতে পারব বলে জানান তিনি।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।