নাটোরে মোকামে লবণযুক্ত চামড়া আমদানি: প্রথম হাটে আমদানি কম

স্টাফ রিপোর্টার : লবণযুক্ত চামড়া আসতে শুরু করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম নাটোরের চকবৈদ্যনাথের আড়তগুলোতে। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা গরুর পাশাপাশি ছাগলের চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে বেড়েছে লবণযুক্ত চামড়ার দাম। গরু এক হাজার থেকে ১৩০০ টাকা পিস এবং ছাগলের চামড়া ৮০ থেকে ১২৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিনি ট্রাক ভর্তি করে, ছোট ছোট যানবাহনে করে লবণযুক্ত চামড়া নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে নাটোরের চকবৈদ্যনাথের আড়তগুলোতে আসেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ঈদের পর শুক্রবার আজ প্রথম হাটে চামড়ার আমদানি ছিল তুলনামূলক কম।

ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, কুষ্টিয়াসহ ৮ থেকে ১০টি জেলার লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া আড়তে প্রবেশ করেছে। গত (বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার) দুদিনে আড়তে প্রবেশ করেছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার পিস গরু এবং ৮০০ থেকে ৯০০ পিস ছাগলের চামড়া।

আরও পড়ুনঃ   সিরাজগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

পুঠিয়া থেকে লবণযুক্ত চামড়া নিয়ে আসা মোস্তফা ব্যাপারী জানান, হাটের প্রথম দিনে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম মোটামুটি ভালো ছিল। তবে ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে বেশ ভালো দামে। গরুর চামড়া এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা পিস বিক্রি করেছি। দাম আরেকটু বাড়লে লাভ বেশি হত।

নওগাঁ থেকে ছাগলের চামড়া নিয়ে আসা শফিক উদ্দীন বলেন, ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস কাচা ছাগলের চামড়া কিনেছিলাম। সেগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে আজ বিক্রি করতে এনেছি। প্রথম হাটে ছাগলের চামড়া প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২৫ টাকা পিস বিক্রি করেছি।

নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য মো. লুৎফর রহমান লাল্টু জানান, শুক্রবার হাটের প্রথম দিনে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে কম। বিক্রি বেড়েছে ছাগলের চামড়ার। আজ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ চামড়া ক্রয় করেছেন। এদিন অন্তত চারটি ট্রাক ঢাকার ট্যানারি শিল্প নগরীর দিকে চামড়া নিয়ে রওনা হয়েছেন। তবে আগামী রোববারের পর থেকে ট্যানারি মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা নাটোরে আসলে বিকিকিনি বাড়বে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ   বড়াইগ্রামে মোবাইল ফোনে ওয়াজ চালিয়ে স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা

প্রসঙ্গত, এবার ঈদের একদিনেই অন্তত ৭০ হাজার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে নাটোরের ব্যবসায়ীরা। এর ভেতর গরুর চামড়া ৪০ থেকে ৫০ হাজার এবং খাসি ২০ থেকে ২৫ হাজার পিস । তবে পুরো মৌসুমজুড়ে গরু সাড়ে ছয় থেকে সাত লাখ পিস এবং ছাগলের চার থেকে পাঁচ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন নাটোরের ব্যবসায়ীরা।