হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির আত্মহত্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে স্কুলছাত্র তাজিমুল হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হযরত আলী আত্মহত্যা করেছে।

বুধবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশে আম গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে হযরত আলীকে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। মৃত হযরত আলী হচ্ছে জেলার নাচোল উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের নিয়ামুল হকের ছেলে।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর হযরত আলীসহ অপর আসামিরা ধান নিয়ে আসার কথা বলে স্কুলছাত্র তাজিমুল হকের অটোরিকশা ভাড়া নেন। এরপর অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নাচোল উপজেলার চিনিসল্লা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার গলায় গামছা ও রশি পেঁচিয়ে এবং ইট দিয়ে মুখ থেঁতলে হত্যা করার পর মরদেহ ওই ভবনেই বালুচাপা দেওয়া হয়। পুলিশ ওই রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাজিমুলের নানা আব্দুল ওহাব বাদি হয়ে নাচোল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত হযরত আলীসহ অপর আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে হযরত আলী পলাতক ছিলো।

আরও পড়ুনঃ   ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবককে গণপিটুনি

এদিকে হযরত আলীর চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, রায় ঘোষণার পর থেকেই হযরত পলাতক ছিলেন। তবে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিলো এবং ঈদের পর তাকে পরিবারের উদ্যোগে আদালতে হাজির করার কথা ছিলো। কিন্তু বুধবার গভীর রাতে হযরত আলী বাড়ির পাশে আম গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ   বড়াইগ্রামে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত কমপক্ষে ২০

এবিষয়ে নাচোল থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন, তাজিমুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি হযরত আলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।