ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় আটজনের মৃত্যু, আহত ৬০ জনের বেশি

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

নিহত আটজনের মধ্যে মধ্যে পাঁচ জন যাত্রী ও ৩ জন রেল কর্মচারী বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার (১৭ জুন) দার্জিলিং থেকে শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে ফাঁসি দেওয়া রাঙাপানি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি। একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিকের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনার এসপি অভিষেক রায়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুনঃ   লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে ফের আগুন, বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ

এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, এই মাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসি দেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে শুনেছি। জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ে ও এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয়ই হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রণালায়ও। কেন্দীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক এক্সবার্তায় জানিয়েছেন দুর্ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি এবং আহতদের পরিবারকে আড়াই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।