ঈদেও মুক্তি নেই গাজার বাসিন্দাদের

অনলাইন ডেস্ক : আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ শনিবার মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ফিলিস্তিনেও আজ ঈদ; তবে এই ঈদের সময়ও গাজা উপত্যকায় অভিযানে কোনো বিরতি দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।

গতকাল শনিবার গাজার প্রধান শহর গাজা সিটিসহ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, রোববার গাজা সিটির তিনটি পৃথক বাড়ি থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। এরা সবাই ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় নিহত হয়েছেন।

এছাড়া এই দিন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা এবং গাজার সিটির শরণার্থী শিবিরেও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।

আরও পড়ুনঃ   মাদক খাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার নারী এমপিকে যৌন হেনস্তা

গত প্রায় দেড় মাস ধরে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। মে মাসের শুরুর দিকে যখন এই অভিযান শুরু হয়, সে সময় এতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই অভিযান চলছে রাফায়। কারণ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) যুক্তি— রাফায় শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে হামাসের এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে রাফায় অভিযান চালানো জরুরি।

এদিকে রাফায় অভিযান ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তির মূল কারণ ছিল সেখানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক ফিলিস্তিনির উপস্থিতি। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এই সীমান্ত শহরটিতে আশ্রয় নেন।

আরও পড়ুনঃ   তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরওে ২৪২ জনকে।

জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা এখনও চলছে। অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৬৬ জন মানুষ, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
-সূত্র : এএফপি