সানজিদা আমীন : চলতি বছরের মে মাসের ১৩ তারিখে বাংলাদেশের প্রায় সবকটি দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম ছিল নারী বেকারত্বের হার কমেছে বাড়ছে পুরুষের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) বেকার পুরুষের সংখ্যা ছিল ১৭.৪০ লাখ। অপরপক্ষে বেকার নারীর সংখ্যা ছিল ৮.৫০ লাখ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যদিও বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষ প্রধান ,তবুও বিগত কয়েক বছর ধরে নারীদের নেতৃত্বে পরিবারের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিতে নারীদের ক্রমবর্ধমান অবদানের কথা উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা নারী বেকারত্বের হ্রাসকে ইতিবাচক খবর হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। নারীদের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে নারী বেকারত্ব হ্রাস উৎসাহজনক। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর দক্ষতার উচ্চ চাহিদা রয়েছে এবং অধিকসংখ্যক নারী পরিবারের মধ্যে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের রিপোর্ট অনুযায়ী নারী ৩৬. ৩ শতাংশ। দেশে সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন নারী-পুরুষ কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে নারী ৪লাখ ৯১হাজার।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশে নারীদের অগ্রযাত্রায় লক্ষ কোটি মা ও বোন অদম্য গতিতে তাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি অধিকতর দৃশ্যমান করছে। এসবের সম্ভব হয়েছে সরকারের নারী বান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি যার অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা। বাংলাদেশ পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১০৩১০০।বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার ৭৪.৭oশতাংশ তার মধ্যে ৭৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ পুরুষ ও ৭১.৯৫ শতাংশনারী। গত কয়েক বছরে এসএসসি এইচএসসি ফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এক দশক আগে প্রতি ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জনের মধ্যে এখন তা ৭৩ ছাড়িয়েছে। এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকার প্রধান নিউজ ছিল সব সূচকে এগিয়ে মেয়েরা।
নারী-পুরুষের সমতা (জেন্ডার ইক্যুইটি) প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার প্রসার বড় ভূমিকা রেখেছে। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ভর্তির হার এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশি। শুধু প্রাথমিক নয়,পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, উচ্চশিক্ষায়(টারশিয়ারি) নারীদের ভর্তির হার ১৭.১৯ শতাংশ। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে অভূতপূর্ব পরিমাণ মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা যেমন বেশি তেমনি সরকারি এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেশি।বাংলাদেশ নারীর জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে মাতৃ মৃত্যুহার দুই -তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনায় জোর দিয়েছে । পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক সূচকে অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষত পরিবারে অর্থনৈতিক কান্ডে নারীর অংশগ্রহণের পাশাপাশি নারীরক্ষমতায়নে অবদান রেখেছে ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ বেঁচে আছে গার্মেন্টস নারীদের শ্রমের ঘামে ,কৃষি ক্ষেত্রেও এগিয়ে এসেছেন নারী শ্রমিকরা। অপ্রাতিষ্ঠানিক বা ইনফর্মাল সেক্টরেও আজ নারীর বিপুল উপস্থিতি লক্ষণীয়। মিস্ত্রি নারী,জোগালি নারী, সবজি বিক্রেতা নারী ,আজ উপার্জনক্ষম নারী, স্বাবলম্বী নারীর মর্যাদায় অভিষিক্ত। নারী উন্নয়নের অন্যতম সূচক হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ। বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ। যা পাকিস্তানের ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হলো তৈরি পোশাক খাত। এ খাতের মোট শ্রমিকের ৭০ শতাংশের বেশি নারী। আবার দেশের বৃহত্তম সেবা খাত হল স্বাস্থ্যসেবা। এখাতেও কর্মরতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি নারী। বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের জিডিপি নারীর অবদান প্রায় ২০শতাংশ।অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন সূচক যেমন -শিক্ষা ,স্বাস্থ্য ,নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুর হার, প্রত্যাশিত গড় আয়ুতে বাংলাদেশ প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে। কর্মক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতা প্রমাণ করছেন ,কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন ,নেতৃত্বও দিচ্ছেন। বর্তমানে বিচারপতি ,সচিব ,ডেপুটি গভর্নর, রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে মানবাধিকার কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন নারী। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে নারী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
খেলাধুলায় বাংলাদেশের মেয়েদের সাফল্য রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলায় তারা ভালো করছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতির ক্ষেত্রে যত অর্জন তার একটি অংশ দেশের খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের অর্জনও অনেক। খেলাধুলায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে ১৯৭২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মহিলা ক্রীড়া সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার মেয়েদের খেলাধুলার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জোবেরা রহমান নিলুকে বলা হয় বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের রানী।১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে কেবল নিজেকেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাননি বাংলাদেশের নামও তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক পরীমণ্ডলে। দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসের নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশে নারী দল প্রথম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেয়।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেক অর্জন রয়েছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সংবিধানের ৬৫( ৩ )অনুচ্ছেদে নারীর জন্য জাতীয় সংসদে আসন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয় এবং এক্ষেত্রে ৬৫(২) অনুচ্ছেদের প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত ৩০০ আসনে নারীর অংশগ্রহণেও কোন বাধা রাখা হয়নি। এছাড়াও সংবিধানের ১৯ (৩)অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগ সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে । ২০২০ সাল নাগাদ সব রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেও ৩৩ শতাংশ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের তিন দশকের বেশি সময় ধরে নারী নেতৃত্ব দেশ পরিচালনা করছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নারী। এমন নজির পৃথিবীতে হয়তো দ্বিতীয়টি আর নেই। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম স্থানে।নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে প্রতিবেশী দেশগুলো তো বটেই, উন্নত অনেক দেশ থেকেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন নিজেই স্বীকার করেছেন ভারতের মেয়েদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশের মেয়েরা এগিয়ে গেছে।
নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া যে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভবপর নয় আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও অসামান্য দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু তা উপলব্ধি করেছিলেন স্বাধীনতা -উত্তর বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ কাঠামো পুনর্গঠনের কাজে হাত দেওয়ার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ,যে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশে রাজনীতি ও প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণে নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রথম উদ্যোগ নেয়। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও নিরাপদ আবাসনের জন্য ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড ‘গঠন করেন।পিতার দর্শন অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনীতি ক্ষমতায়নের নতুন ধারা সূচনা করেন, এনেছেন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভিন্ন পরিবর্তন। সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ম্যাজিকেই এক যুগে বদলে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়,নারীর ক্ষমতায়ন ,শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুহ্রাসসহ বেশ কিছু সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্ব নেতৃত্বকে চমকে দিয়েছে। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ রোল মডেল সৃষ্টি করেছে।
সাধারণত নারীরা ঘর-সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকে এবং তাদের এই কাজে কোন মূল্যায়ন করা হয় না কিন্তু নারী পুরুষের সম অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে দেশকে উন্নত বিশ্বে পৌঁছানো সম্ভব নয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট পূরণ করছে । নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের ১০% সুদে বিনা জামানতে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদানের সুযোগ রেখেছে । তৃণমূলের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য তাদের জীবন দক্ষতা মূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে । তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান এবং কর্ম ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং গ্রহণ করে আয় করতে পারায় তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । নারীদের ব্যবসায় উৎসাহ প্রদান সহ উদ্যোক্তা সৃজনী সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ রয়েছে । ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা করতে স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস (এসএমই) ঋণ প্রাপ্তি সুবিধার্থে নারী উদ্যোক্তাদের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। দুস্থ, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ, ভিজিডি, দুস্থ ভাতা ,বয়স্ক ভাতা,মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা,অক্ষম মা ও স্বামী পরিতোক্তাদের জন্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে বর্তমান সরকার ।
সমাজ উন্নয়ন ও নারী উন্নয়নের বিষয়টি ওতোপ্রোত জড়িত। নারীর ক্ষমতায়েন তাই আজ শুধু একটি আধুনিক প্রপঞ্চ নয় বরং একই সঙ্গে বৈশ্বিক ও সর্বজনীন প্রপঞ্চ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী বিধায় নারী -পুরুষের সমান অংশীদারী ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব যখন কোথাও কোন সীমাবদ্ধতা ছাড়াই নারীরা শিক্ষা ,কর্মজীবন এবং নিজেদের জীবনধারায় পরিবর্তন আনার জন্য বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা গুলো ব্যবহারের সুযোগ পান। আমাদের সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি এবং নারীর সুরক্ষার্থে পরিবার ও সমাজের মাঝে সচেতনতা বাড়িয়ে দেশব্যাপী সর্বজনীন আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই নারী ক্ষমতায়ন হবে এবং দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
#
লেখিকা: তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা
পিআইডি ফিচার