গণধ্বনি ডেস্ক : সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রায় ১০ মাসে এর চার স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৮৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। এসব জমাকৃত অর্থের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে ৬২ কোটি টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ই আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ এ চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত। উদ্বোধনের পর প্রথম এক মাসে চার স্কিমে গ্রাহক হয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন। কিন্তু পরবর্তীতে এ সংখ্যা কিছুটা কমে পাঁচ মাস পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার করে বাড়ছিল। তবে ষষ্ঠ মাস থেকে চাঁদাদাতার প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। এভাবে প্রায় আট মাসে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখের মাইল ফলক স্পর্শ করে। পরবর্তী দুই লাখ গ্রাহক বেড়েছে মাত্র দের মাসে।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্নকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে সমতা স্কিমে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪, প্রগতি স্কিমে ২১ হাজার ২৯৪, সুরক্ষা স্কিমে ৫৬ হাজার ৯১৯ এবং প্রবাস স্কিমে ৭৯৯ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ৮৭টি এনজিও প্রগতি স্কিমে নিবন্ধিত হয়ে তাদের কর্মচারীদের অনুকূলে চাঁদা প্রদান শুরু করেছে।
পঞ্চম স্কিম হিসেবে ‘প্রত্যয়’ নামে নতুন স্কিম চালু করা হচ্ছে যা সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ১লা জুলাই ২০২৪ থেকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করবেন তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে। এদিকে পেনশন পান এমন সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগামী বছরের ১লা জুলাই থেকে নতুন নিয়োগ পাওয়ারা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। গত বৃহস্পতিবার সংসদে দেয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় একথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।