স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর রক্ষাগোলা গ্রাম ভিত্তিক স্তিতিশীল খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ডিপ অপারেটরদের সঙ্গে রক্ষাগোলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রান্তিক বাঙালি কৃষকদের ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সংকট দূরীকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে রক্ষগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কার সভাপতিত্বে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিসিবিভিওর সমন্বয়কারী আরিফ ইথারের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় প্রবন্ধপত্র পাঠ করেন সিসিবিভিওর প্রতিবেদক ও ডকুমেন্টশন ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা প্রদীপ মার্ডী। এরপর প্রবন্ধ ও বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি সংকট আলোকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, রক্ষগোলা নেতৃবৃন্দ, প্রান্তিক কৃষকদের সমস্যা নিয়ে মুক্ত আলোচনা হয়। এতে কৃষক, ডিপ অপারেটর, মিডিয়াকর্মীরা পানির সমস্যা নিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের মতামত তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিসিবিভিওর নির্বাহী প্রধান সারওয়ার-ই-কামাল বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের চাষকৃত জমিতে দীর্ঘদিনের পানি নিয়ে ডিপ অপারেটর দ্বারা যেসব বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং সমাধানের মাতামত প্রদান করে বরেন্দ্র বহৃমুখী কর্তৃপক্ষকে এর যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, বিএমডিএ প্রতিষ্ঠিত করার মূল উদ্দেশ্যে হলো ক্ষরা প্রচলিত এলাকায় সেচের মাধ্যমে সারা বছর ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করা। সরকার ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষের উন্নতি সাধনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে। বিএমডিএতেও সরকার ভর্তুকি দিয়ে পানির সেচের ব্যবস্থা করছে। পানির ব্যবহার অপচয় রোধে কৃষকদের কূপন সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। পরে তা প্রিপেইড কার্ড সিস্টেম চালু করা হয়। যাতে করে যতটুকু পানি প্রয়োজন ততটুকু নেওয়া হয়। ডিপ অপারেটরদের হাত থেকে এসব পদ্ধতি অবলম্বন করলে হয়রানি হওয়ার কথা না। তবুও কোনো না কোনো ভাবে অসাধু উপায় অবলম্বন করে কৃষকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কোনো অনিয়ম হলে আমরা অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে সমাধানের পথ অবলম্বন করি। কারো দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি প্রদান করা হয়।