স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর মহানগরীরতে ফিল্মি কায়দায় বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি মো শরিফ (৪৫) কে। সন্ত্রাসীরা গুরতর জখম করে থানায় সোপর্দের অভিযোগ উঠেছে।
গত (৩রা জুন) মতিহার থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোসা: বুলবুলি (৪৫)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোসাঃ বুলবুলি (৪৫) এর স্বামী একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। সে দীর্ঘদিন যাবত পাবনার মানসিক হাসপাতালের ডাক্তার মামুন এর অধীনে চিকিৎসারত আছেন এবং নিয়মিত ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফ মাঝে মধ্যেই মাথায় সমস্যা তৈরি হয় এবং মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
গত ১লা জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটার সময় মতিহার থানাধীন চোদ্দপায় মোড়ে ১নং বিবাদীর সাথে আমার ভারসাম্যহীন স্বামী গল্প করা কালীন ১নং বিবাদী তার সাথে ইয়ার্কি-ফাজলামি করে একপর্যায়ে আমার স্বামীকে নানা মূখী উত্তেজিত করে। পরে আমার স্বামী রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ছোট্ট টুকরো দিয়ে ১নং ব্যাক্তিকে মাথায় আঘাত করেন। কেননা আগেই বলা হয়েছে মোঃ শরিফ একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তারপরে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তির মাথা কিছুটা ঠান্ডা হলে মানে (সে হুসে ফিরে) এলে ১নং বিবাদীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে বিবাদীগন কিছুটা সুস্থ হলে আমার স্বামীর ওপর রাগ করে শরিফ এর নামে নগরীর মতিহার থানা গত ২ জুন অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগ দায়ের করার পর বিবাদী মোঃ আহাসান, মোঃ টিটু,সাঈদসহ অঙ্গাত নামা ৩/৪ জন মিলে ওই ভারসাম্যহীন শরিফ এর বাসায় রাত্রি ৯.১০ মিনিট এর সময় ছদ্মবেশে বাসায় প্রবেশ করেন। পরে বাসায় প্রবেশ করার পর আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচারণ করেন এবং আমার স্বামী শরিফ কে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যেতে চাই। তখন আমি মোসাঃ বুলবুলি তাদের কে বাধা দিলে বিবাদীরা আমাকেও লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং আমি ছিটকে গিয়ে ঘরের দরজার কাছে পড়ে যায়। তখন আমার ছেলের বউ মরিয়ম (২২) ঠিক একই ভাবে বাধা দিতে গেলে তাকেও গুরুতর জখম করেন। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এছাড়াও বিবাদীগন তাদের বাসা বিক্রয়ের নগদ ৭ লক্ষ টাকা এবং এক ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন জ্বোর পূর্বক ছিনিয়ে নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবাদীরা মোঃ শরিফ (মানসিক ভারসাম্যহীন) কে জাহাজঘাট ঈদগাহ ময়দানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক আঘাত করেন এবং ঘটনাস্থলে সে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে ১ং বিবাদী আহাসান টানতে টানতে নিয়ে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। উক্ত ঘটনার স্বাক্ষী হিসেবে এলাকা বাসী উদ্যত হয়েছেন এবং সরজমিনে যা ঘটনা ঘটেছে তা তুলে ধরেছেন।
এই বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোবারক পারভেজ জানান ” সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সে যদি মানসিক রুগী হয় সে বিষয়ে আদালতের নির্দেশে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো”।