স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী অঞ্চলের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো কৃষি। কিন্তু কৃষি ও কৃষি উপজাত দ্রব্যাদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সীমবদ্ধতার কারণে এ অঞ্চলের অর্থনীতির ভীত এখনো দুর্বল। এরপরেও সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাজশাহী কর অঞ্চলে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ১০১ শতাংশ। সুতরাং ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে এ অঞ্চলের মানুষের বিশেষ করে বিভাগীয় শহর
রাজশাহীর অর্থনীতির ভিত্তিকে চাঙা করতে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণ জনপ্রত্যাশা ও জনদাবি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজশাহী আঞ্চলের তথ্যমতে, সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ২১১ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৪ কোটি টাকা বেশি অর্জন হয়েছে।
রাজশাহীর গবেষক, শিক্ষক, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংষ্কৃতিক প্রতিনিধি, কৃষিবীদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,
রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃহত্তর এই অঞ্চলটির অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে উঠেছে কৃষিকে কেন্দ্র করে। চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি শস্য উৎপাদনশীলতার কারণে এ অঞ্চলকে শষ্য ভান্ডারও বলা হয়। কিন্তু নানা সীমবদ্ধতার কারণে এ অঞ্চলের অর্থনীতির ভীত এখনো দুর্বল। সুতরাং কৃষি ও কৃষিজাত দ্রব্যাদি বিকাশের লক্ষ্যে বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে।
তারা বলছেন,
রাজশাহী মহানগরী একটি শিক্ষা বিশেষায়িত জনপদ। বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে উঠেছে। এই এলাকার কৃষি ও শিক্ষা কর্মকান্ড সবচেয়ে বেশি। এ ধারা এখনও বিকাশমান। বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ ও বিস্তৃতি টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সুতরাং এই অধিক গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন,
রাজশাহী একটি বিভাগীয় শহর হলেও এখানে আয়ের সুযোগ বাংলাদেশের বহু জেলা শহরের তুলনায়ও অনেক সীমিত। তারই ধারাবাহিকতায় নাগরিকদের ব্যয়ের সক্ষমতা ও জীবনযাত্রার মানও কম। চাহিদার বৈচিত্রও সীমাবদ্ধ। রাজশাহীতে অঞ্চল ভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসা ও সামগ্রিক অর্থনীতি অনেকটাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক আবর্তিত। দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে
রাজশাহীর অর্থনীতিতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সুতরাং সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করে কৃষিতে যে অপার সম্ভাবনা আছে, সেটিকে কাজে লাগাতে এই অর্থবছরে বিশেষ বরাদ্দ থাকা উচিত।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, আমরা মনে করি রাজশাহী কর অঞ্চলের এই অভাবনীয় সাফল্যের জন্য আরসিসিআই প্রচ্ছন্ন অংশীদার। রাজস্ব ও ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গত দুই অর্থবছরে আরসিসিআই ৩০০ জন প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাকে এনবিআর এর আওতাভুক্ত করেছে। করোনা মহামারি গত ২ বছরে বুঝিয়ে দিয়ে গেছে কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নের উপরই একটা দেশ মেরুদন্ড সোজা করে দাড়িয়ে থাকতে পারে।
বিক্ষিপ্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে কম সক্ষম জনগোষ্ঠীর উপর অতিরিক্ত করের বোঝা আরোপ করে আয় বৃদ্ধির প্রচেষ্টা দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অন্তরায়। সুতরাং কৃষি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত উদ্যোক্তাদের কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনার আবেদন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমাদের বাজেট প্রস্তাবনা রয়েছে। সেগুলোও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পাঠানো হয়েছে। প্রতাশা থাকবে এটিকে গুরুত্ব দিয়েই
রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের প্রতি বাজেটে বিশেষ কিছু থাকবে।
রাজশাহী চেম্বারের বাজেট প্রস্তাবনা:
ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স (টিডিএস) প্রত্যাহার:
পাটের উপর নির্ধারিত ২% টিডিএস প্রত্যাহারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই ২% টিডিএস নির্ধারণের বিষয়ে জুট মিল মালিকদের উপর চাপ প্রদান করা হচ্ছে এবং প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাট বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছে। যার ফলে জুট মিলগুলো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
উদ্যোক্তাদের বিশেষ ছাড়: নতুন উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ ) বছরের জন্য ওহপড়সব ঞধী ঋৎবব করা। এয়াড়া শুধুমাত্র করের আওতায় আসা নতুন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নয় বরং বিদ্যমান কর ব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোর মধ্যেই কর দাতাদের জন্য সহনশীল অবস্থা সৃষ্টি করা।
আয়কর ট্রাইবুনাল সেবা:
আয়কর ট্রাইবুনালের জন্য রাজশাহীতে কোন ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে করদাতাকে রংপুরে যেতে হয় এবং এই যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় এবং অর্থের বিষয় জড়িত থাকে। যার কারনে করদাতারা অনেক ক্ষেত্রেই উৎসাহ বোধ করে না। তাই ট্রাইবুনালের সুবিধাটি
রাজশাহী কর ভবনে ব্যবস্থা করা জরুরি।
সুলতানগঞ্জ-মায়া বন্দর চালু:
সোনামসজিদ ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যে সকল বৈধ পণ্য আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই সকল বৈধ পণ্য সুলতানগঞ্জ-মায়া বন্দর দিয়ে এই সকল পণ্য আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হোক। কেননা সুলতানগঞ্জ-মায়া বন্দর দিয়ে আমদানি করলে কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা ট্রান্সপোর্ট খরচ সাশ্রয় হবে। এতে দেশের জনগণ কম মূল্যে পণ্য পাবে। ফলে দেশের জনগণ উপকৃত হবে। সোনামসজিদ ও বেনাপোল বন্দর দিয়ে সরকার যে রাজস্ব পায় আমরা একই রাজস্ব দিয়ে বৈধভাবে পণ্য আমদানি করতে চাই। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি জনগণ এবং সরকার লাভবান হবে।
করদাতার উপর চাপ কমানো:
বর্তমান কর ব্যবস্থায় ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এর লেনদেন এর উপর বিদ্যমান এ্যাসেসমেন্ট এবং উৎস কর নির্ধারণ ব্যবস্থা পরিহার করা উচিৎ। করের আওতা বৃদ্ধি করে একক করদাতার উপর চাপ কমিয়ে এনে মোট কর আদায় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
ইট ভাটার উপর ভ্যাট কর্তনে নব প্রস্তাব:
ইট ভাটার উপর ভ্যাট কর্তনে তিন স্থরে আদায় করা হয়- যেমন ৩১ শে ডিসেম্বর ও পরবতীতে দুটি কিস্তিতে আদায় হয়ে থাকে। আমাদের প্রস্তাবনা, ৩১ ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তি আদায়ের পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারী ও পরবর্তী দুই কিস্তি ১ মাস করে পিছিয়ে আদায় করলে ব্যবসার উপর চাপ কমবে ফলে ভ্যাটের কিস্তি দেয়া সহজ হবে
ডাবল ট্যাক্সেশনের সমস্যা দূরীকরণ:
আমদানী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানী মূল্যের উপর পণ্য খালাসের সময়েই পূর্ণ ভ্যাট আদায়ের মাধ্যমে পণ্য খালাস হলে কর আদায় সহজ ও নিশ্চিত হবে। মধ্যবর্তী পর্যায়ে আমদানী কারকের ঘোষণা এবং নতুনভাবে গজচ নির্ধারণ ও যাচাই সময়সাপেক্ষ এবং তুলনামূলকভাবে জটিল। তাই আমদানী পণ্যের ক্ষেত্রে রহাড়রপব এবং অন্যান্য খরচ সমন্বয়ের মাধ্যমে পণ্য দেশে প্রবেশের সময়েই ঠঅঞ বা অন্যান্য করারোপ করে পণ্য তাৎক্ষণিকভাবে খালাস করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে করারোপের ফলে মধ্যবর্তী স্তরগুলি অতিক্রম করা যাবে সহজেই। তাছাড়া ডাবল ট্যাক্সেশনের সমস্যা অতিক্রম করা সম্ভব হবে।
হোটেল ও রেস্তোরার খাবারের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার:
শিক্ষানগরী রাজশাহীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী-অভিভাবক শহরে আসে। শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যয় কমিয়ে আনার স্বার্থে ছাত্রদের জন্য হোটেল ও রেস্তোরার খাবারের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা।
উৎসে আয়কর কর্তনের বিদ্যমান আইন রহিত করা:
ঠিকাদার ও সরবরাহকারীর ক্ষেত্রে পাট, চাল,আলু, পেয়াজ ইত্যাদি পণ্য সরবরাহকারী কৃষক/ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে উৎসে আয়কর কর্তন কঠিন। একারণে উৎসে আয়কর কর্তনের বিদ্যমান আইন রহিত করা।
পূর্ণাঙ্গ কোয়ারেন্টাইন অফিস ও বন্ডেডওয়্যার হাউস সুবিধা স্থাপন:
এই অঞ্চল থেকে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ল্যাবরেটরি সুবিধাসহ পূর্ণাঙ্গ কোয়ারেন্টাইন অফিস ও বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধা স্থাপন করতে হবে। এরফলে এই অঞ্চল থেকে রপ্তানী বৃদ্ধি পাবে এবং রাজস্ব আদায়ও বাড়বে বহুগুন।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বাৎসরিক হারে করারোপ:
ছোট-ছোট দোকান, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও কুটির শিল্পোদ্যক্তাদের বাৎসরিক হারে করারোপ করা যেতে পারে। এরফলে করের আওতা বাড়বে এবং মধ্যবর্তী জটিলতা কমবে। করারোপ পদ্ধতি সহজ হলে কর প্রদানকারীরা কর প্রদানে উৎসাহী হবে। করারোপ পদ্ধতি সহজ হলে কর প্রদানকারীদের কর ভীতি কমবে।
স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের বিশেষ প্যাকেজ:
এইসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য পুুঁজিসংস্থানের লক্ষ্যে এই অঞ্চলে কর্মরত ব্যাংক, বীমা এবং লিজিং কোম্পানিগুলির স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের বিশেষ প্যাকেজ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষত: দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো একই হারে এবং পদ্ধতিতে ঋণ
রাজশাহী অঞ্চলে তেমন কার্যকরি প্রভাব ফেলতে পারবে না। এই অঞ্চলের জন্য-
ক. স্বল্প সূদে ঋণ প্রদান
খ. ক্ষেত্র বিশেষে সরল হারে সুদারোপ বিশেষ করে রেশমগুটি উৎপাদন পুন:রুদ্ধারের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।
গ. ব্যাংকগুলির সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব স্থানীয় পর্যায়ে আনতে হবে।
ঘ. ক্ষুদ্র, এস.এম.ই, নারী উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চেম্বার অব কমার্সকে ঋণ প্রদান প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট করে পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
ঙ. এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে বিশেষ কর বিন্যাস এবং পুঁজি বিনিয়োগ নীতিমালা গ্রহন করা প্রয়োজন। এর জন্য কর কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিৎ।
চ. এই অঞ্চলে ব্যবসায়ীদের স্বল্প সূদে ঋণ দানের জন্য বিশেষ সমন্বিত ফান্ড সৃষ্টি করতে হবে। এস.এম.ই ঋণসীমা এক শো কোটিতে উন্নীত করতে হবে।
জ্বালানী নিরাপত্তা:
এই অঞ্চলের মাসিক জ্বালানী তেল ব্যবহারের চিত্র:
অকটেন-১৫,১২,০০০ লিটার
পেট্রোল ৪৫,৩৩,০০০ লিটার
ডিজেল- ১৯৭,৪২,৪২৫ লিটার
কেরোসিন-৫,০৫,৫০০ লিটার
ফার্নেস ওয়েল ৩০,০০,০০০ লিটার
কৃষিক্ষেত্রে ডিজেল লাগে- ৩৯,৪৮,৪৮৫ লিটার
জ্বালানী নিরাপত্তা সৃষ্টির জন্য
রাজশাহীর হরিয়ান স্টেশন সংলগ্ন স্থানে জ্বালানি তেল ডিপো স্থাপন করা প্রয়োজন। ভারতের আসাম রাজ্যের নোমনীগড় রিফাইনারি থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপোতে সরবরাহ করা হচ্ছে। সেখান থেকে সারা দেশে রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ হবে। ফলে সহজেই আমরা হরিয়ান পর্যন্ত রেলপথে তেল পরিবহণ করতে পারবো। হারিয়ানে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমিও আছে যেখানে স্থায়ী রেলহেড ডিপো নির্মাণ করা যাবে। বর্তমানে হরিয়ান স্টেশনে পূর্নাঙ্গ রেলহেড ডিপো স্থাপনের মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিস রাজশাহীতে প্রতিস্থাপন করা জরুরি। রাজশাহী অঞ্চলে বর্তমানে তেল সরবরাহ হয় বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে। কিন্তু নদী সিল্টেড হয়ে গেলে কিংবা নাব্যতা কমে গেলে সংকট তৈরি হয়। এরফলে
রাজশাহী অঞ্চল মাঝে মাঝেই জ্বালানি সংকটে পড়ে। বিশেষ করে কৃষি ক্ষেত্রে এর প্রভাব হয় মারাত্মক। তাই ডিপো স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে বহুবিধ লিংকেজ এর মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে।
নৈরাজ্য দূর:
রাজশাহীর সকল ক্লিনিক, প্যাথলজি সেন্টার এবং চিকিৎসক এর ফি আদায় স্বয়ংক্রিয় কর ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। ফলে এক্ষেত্রে নৈরাজ্য দূর করা সম্ভব হবে।
অন্যান্য: কোমল পানীয় ও মিনারেল ওয়াটার এর উপর উৎসে সকল প্রকার ভ্যাট সমন্বয় করলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
ঠিকাদারী কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারী কাজে কাজ বাস্তবায়ন, বিল পরিশোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণহীন দীর্ঘসূত্রিতার ফলে ঠিকাদারগণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এইক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে অতিরিক্ত দাপ্তরিক বিলম্বকালীন সময়কে বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংক হারে সুদ প্রদান কিংবা যুক্তিপূর্ণ ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
রপ্তানী প্রণোদনার বিষয়টি এখানে লোকাল কর অফিস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন কর।