স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীতে অভিমানী এক নিখোঁজ কিশোরীকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার লক্ষীকুন্ডার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ। ঐ কিশোরী গত ১৩ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহমখদুম থানার মধ্য নওদাপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়।
উদ্ধারকৃত কিশোরী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার উপর রাজারামপুর এলাকার মো: শফিকুল ইসলাম ওরফে সাদিকুল ইসলামের মেয়ে। সে বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার মধ্য নওদাপাড়া এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মে ২০২৪ বিকেল সাড়ে ৪ টায় এক কিশোরী অভিমান করে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে বের হয়। দীর্ঘ সময় পার হলেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় তার বাবা মা আশপাশে খোঁজ করতে থাকেন। এসময় সে তার বাবা মাকে মোবাইল ফোনে জানায়, সে ভালো আছে। তার বাবা তাকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করলে ঐ কিশোরী তার খোঁজ করতে নিষেধ করে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। সে কিছু দিন পর পর তার বাবা-মার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতো কিন্তু তার অবস্থান জানাতো না। তার বাবা-মা বার বার তাকে ফিরে আসার অনুরোধ করলেও সে ফিরে আসে না। পরবর্তীতে তার বাবা-মা মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় গত ১ জুন ২০২৪ শাহমখদুম থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
আরএমপি’র শাহমখদুম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: নুর আলম সিদ্দিকী নিখোঁজ ঐ কিশোরীকে দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ প্রদান করেন।
শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেনের দিকনির্দেশনায় এসআই মো: আব্দুল মতিন ও তার টিম ঐ কিশোরীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। পরবর্তীতে শাহমখদুম থানা পুলিশ আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে তার অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর গতকাল ২ জুন ২০২৪ দিবাগত রাত দেড়টায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার লক্ষীকুন্ডার এলাকায় ঐ কিশোরীকে তাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শাহমখদুম থানা পুলিশ।
অভিমানী মেয়েকে ফিরে পেয়ে তার মা-বাবা অত্যন্ত আনন্দিত। পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেয়েকে ফিরে পেয়ে তারা আরএমপি’র শাহমখদুম থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী জানায়, গত ১৩ মে ২০২৪ বিকেল সাড়ে ৪ টায় অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে তাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি পাবনায় যায়। সেখানে গিয়ে সে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। মাঝে মধ্যে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও অভিমানে তার অবস্থানের কথা বলত না।