দিনের পর দিন গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর উপজেলায় দিনের পর দিন গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ জুন) বিকেলে রাজিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধর্ষণের ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে ওই গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলপাড়া গ্রামের আবু সামারের ছেলে জয়নাল মিয়া এবং টাঙ্গালিয়াপাড়া এলাকার মো. শহীদ আলীর ছেলে আলম মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী ও অভিযুক্তরা একসঙ্গে কসাইয়ের কাজ করতেন। পাওনা টাকা দিতে না পারায় ওই গৃহবধূকে জিম্মি করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছিল অভিযুক্তরা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লোকলজ্জার ভয়ে বিষপানে আত্মাহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী-স্ত্রী। এতে স্ত্রীর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান স্বামী। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এনিয়ে গত বুধবার (২৯ মে) থানায় নিহতের মামার তথ্যের ভিত্তিতে একটি ইউডি মামলা হয়। পরে গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) রাতে পুলিশের অনুরোধে নিহতের মামা বাদী হয়ে রাজীবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে রাতেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ   ‘বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার বীজ বোপন করেছিলেন’- মেয়র লিটন

এ বিষয়ে রাজীবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে নিহত গৃহবধূর মামা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে পৃথকভাবে জয়নাল ও আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুনঃ   যাত্রাবাড়ীতে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মোল্লা কলেজে হামলা, সংঘর্ষ

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, রাজীবপুর থানায় ধর্ষণের মামলা হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত দুজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাক না কেন আমরা তাদের আইনের আওতায় আনবো। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।