নগরীতে দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার, অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার

ছবি: গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারীরা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকা হতে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করার ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় আসামিদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুরের মো: বরজাহান আলীর ছেলে মো: আকাশ আলী শিমুল(২৫) ও একই এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে সাব্বির আহমেদ মুন্না (২৬)।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার নওহাটা গ্রামের নুরনবী অন্তর নামের এক ব্যক্তি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকায় বসবাস করেন। গত ২৮ মে ২০২৪ দুপুর সাড়ে ১২ টায় আসামি আকাশ, সাব্বিরসহ কয়েকজন ভিকটিম নুরনবী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে মারপিট করে। এরপর নুরনবীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে লক্ষীপুর ঐতিহ্য চত্বর শিশু হাসপাতালের পিছনে নিয়ে যায়। তারা মোবাইল ফোনে নুরনবীর স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মু্ক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তার স্বামীর হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ারও হুমকি দেয়। বিষয়টি নুরনবীর স্ত্রী রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশকে জানান।

আরও পড়ুনঃ   ক্যাডার বৈষম্য আমাদের বিষয়বস্তু না বলে আমরা তো চোখ, কান বন্ধ করে থাকতে পারি না: সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার কে এম আরিফুল হক, বিপিএম, পিপিএম-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিবি পুলিশের এসআই মো: নাদিম উদ্দীন ও তাঁর টিম অপহৃত নুরনবীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।

পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের ঐ টিম গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর ভাটাপাড়া গুজির মাঠ থেকে নুরনবীকে উদ্ধার করে। অভিযানে অপহরণকারী আকাশ ও সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও সেখান থেকে ছয় অপহরণকারী পালিয়ে যায়। এসময় আসামিদের কাছ থেকে নুরনবীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে রাজশাহী নগর

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ভিকটিম নুরনবীকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রথমে শিশু হাসপাতালের পিছনে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে আহত করে এবং তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তাকে লক্ষীপুর ভাটাপাড়া গুজির মাঠে নিয়ে যায়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আরএমপি’র রাজপাড়া থানায় মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।