দুর্নীতির বাইরে আছেন এমন সাংবাদিক দেখতে পাই না : এমপি সিদ্দিকুর

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় একজন ছাড়া প্রত্যেকেই দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক বলে মন্তব্য করেছেন নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।

শনিবার (২৫ মে) বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় একটি প্রেসক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় সাংবাদিকরা।

অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সাংবাদিক হিসেবে যখন আমি একজনের নাম উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে দিতে চাই, তখন এক সাইফুল ভাই ছাড়া একজনকেও দেখতে পাই না যাদের ভেতর দুর্নীতি নাই। যারা দুর্নীতির বাইরে আছেন প্রকৃত সাংবাদিক এমন কাউকে দেখতে পাই না। আপনারা বলতে পারেন আমি অন্ধ। আমি আপেক্ষিকভাবে বললাম, মানুষ তো শতভাগ সৎ হয় না।

আরও পড়ুনঃ   শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

এদিকে সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি মু. অহিদুল হক। তিনি বলেন, এমপি মহোদয়ের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, পুকুর খননের এক টাকা আমার এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের কোনো সদস্যের পকেটে ঢোকেনি। মাটি কেটে যখন বিক্রি করা হয়েছে তখন একমাত্র আমরাই সেটার বিরুদ্ধে নিউজ করেছি। তাহলে আমার দুর্নীতিটা কোথায়। এভাবে ঢালাও কাউকে দোষারোপ করা ঠিক না। আমি এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।

নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট নাজমুল হাসান বলেন, সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে উপজেলায় কর্মরত অর্ধশত সাংবাদিকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার কাছে আরও দায়িত্বশীল বক্তব্য আমরা আশা করি।

আরও পড়ুনঃ   সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু, ক্লিনিকে তালা দিয়ে পালাল কর্তৃপক্ষ

এ বিষয়ে কথা বলতে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বক্তব্যটি বড়াইগ্রামের প্রেক্ষাপটে দেওয়া হয়েছে। এখানে নিত্য নতুন প্রেসক্লাব তৈরি হচ্ছে। তাদের যাতে বেতনের ব্যবস্থা হয় সে বিষয়েও বক্তব্য দিয়েছি। সাংবাদিকরা মাটি কাটার পক্ষে গেলেও লেখে বিপক্ষে গেলেও আমাকে জড়িয়ে লেখে। সাংবাদিকতা পেশা সমাজের দর্পণ, এই দর্পণের অনুকূল চরিত্র গঠন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য কথা প্রসঙ্গে এমনটা বলেছি।