নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন এমপি আনার

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের কলকাতার নিউ টাউনে গত ১৪ মে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ার আজীম আনার। এখন তার হত্যা রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। এরমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (২৪ মে) জানিয়েছে, নিউ টাউনের ওই বাড়ি থেকে পাওয়া সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা গেছে, এমপি আনার নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে তাকে হত্যা করে, মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখন হানি ট্র্যাপের বিষয়ে তদন্ত করছে। হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে মূলত নারীদের ব্যবহার করা হয়। তারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করেন এবং লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বিপদে ফেলেন।

আরও পড়ুনঃ   পাকিস্তান : ইমরান খানের এক হাজার কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার

সিসিটিভিতে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে সেটি শিলাস্তি রহমান ওরফে সিনথিয়া রহমান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শিলাস্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার এক পুলিশ সদস্য এনডিটিভিকে বলেছেন, “তদন্ত ইঙ্গিত করছে এমপি আনার হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়েছিলেন। মনে হচ্ছে ওই নারীর মাধ্যমে তাকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি ফ্ল্যাটে প্রবেশের পরই বাংলাদেশি এমপিকে হত্যা করা হয়েছে।”

গত ১২ মে বাড়িতে চিকিৎসার কথা বলে কলকাতায় যান এমপি আনার। ওই সময় তিনি তার পুরোনো বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেন। তবে ১৪ মে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ   এবার কানাডায় ত্রুটিপূর্ণ অবতরণের সময় ফ্লাইটে আগুন

এদিকে আনারকে হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামের এক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। পেশায় কসাই জিহাদ আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ থেকে চামড়া ছাড়ান। এরপর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে সেগুলো শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন। যেন কোনোদিন এমপি আনারের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে বের করতে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে ইতিমধ্যে পুলিশ জানিয়েছে, আক্তারুজ্জামান শাহীন নামের এক ব্যক্তি তাকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।-সূত্র: এনডিটিভি