অনলাইন ডেস্ক : ভারতের কোচের পদে রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই ম্যান ইন ব্লুদের নেতৃত্ব থেকে সরে যাবেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। এরইমাঝে নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। তবে বিজ্ঞপ্তি দিয়েই বসে নেই তারা। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করেছে নিজ থেকেই। তাদেরই একজন অজি ক্রিকেট কিংবদন্তি রিকি পন্টিং।
মে মাসের ১৩ তারিখ দেয়া হয়েছিল সেই বিজ্ঞপ্তি। আর ২৭ তারিখ শেষ হচ্ছে আবেদনের সময়সীমা। এরইমাঝে পন্টিংকে নিজেদের কোচের বিবেচনায় যোগাযোগ করেছিল বিসিসিআই। তবে সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি। কারণটাও খোলাসা করেছেন তিনি, জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য নিজেকে এখনই উপযুক্ত ভাবছেন না তিনি।
ভারতের মাটিতে অবশ্য পন্টিংয়ের সুখস্মৃতির অভাব নেই। খেলোয়াড়–কোচ উভয় ভূমিকায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে আইপিএল শিরোপা জিতেছেন। ২০১৮ সাল থেকে আরেক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসকে কোচিং করাচ্ছেন।
আইসিসিকে দেয়া সাক্ষাতে পন্টিং বলেন, ‘এ নিয়ে (ভারতের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে) আমি অনেক প্রতিবেদন দেখেছি। সাধারণত এ ধরনের বিষয় আপনি নিজে জানার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে আসে। তবে এটা ঠিক যে আইপিএলের সময় সরাসরি কিছু আলাপ–আলোচনা হয়েছিল। তারা (বিসিসিআই) শুধু এটা জানতে চেয়েছিল, আমি (ভারতের কোচ হতে) কতটা আগ্রহী।’
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দলের কোচ কেন হতে চাননা, সেই উত্তরও দিয়েছেন পন্টিং, ‘একটি জাতীয় দলের সিনিয়র কোচ হতে পারলে ভালোই হতো। কিন্তু আমার জীবনে আরও অনেক জিনিস আছে। আমি বাড়িতে সময় কাটাতে চাই। সবাই জানে, ভারতীয় দলের কোচ হলে আইপিএলের দলের সঙ্গে থাকা যায় না। তাই আমাকে একটা ছেড়ে আরেকটি বেছে নিতে হবে।
‘তা ছাড়া জাতীয় দলের কোচকে বছরে ১০ থেকে ১১ মাস কাজ করতে হয়। তাই আমি যতই চাই না কেন, এটা ঠিক এই মুহূর্তে আমার জীবনধারার সঙ্গে খাপ খাবে না এবং যে কাজগুলো আমি করতে পছন্দ করি, তা উপভোগ করতে পারব না।’- যোগ করেন পন্টিং।
ভারতের এমন প্রস্তাব নিয়ে পরিবারের সঙ্গেও আলাপ করেছিলেন পন্টিং। তাদের সায় থাকলেও অজি এই ক্রিকেটার নিজেকে বিরত রেখেছেন বড় দায়িত্ব থেকে, ‘আমার পরিবার ও সন্তানেরা আইপিএলের সময় পাঁচ সপ্তাহ আমার সঙ্গেই কাটিয়েছে। ওরা প্রতিবছরই ভারতে আসে। আমি আমার ছেলের কানে চুপিচুপি কথাটা বলেছি, তোমার বাবাকে ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমার ছেলে বলল, ‘বাবা, তুমি চাকরিটা নিয়ে নাও। তাহলে আগামী কয়েক বছর আমরা ভারতেই থাকব।’
পন্টিংয়ের ভাষ্য, ‘আমার সন্তানেরা ভারতে থাকতে ও ভারতের ক্রিকেট সংস্কৃতিকে এতটাই পছন্দ করে। কিন্তু ওই যে বললাম, আমার জীবনধারার সঙ্গে এই মুহূর্তে চাকরিটা ঠিক যায় না।’