দারিদ্রমোচনে সামাজিক সুরক্ষা : আমিনুল ইসলাম

মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সম্মিলিত দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সমুন্নত রেখে সরকার দেশের ঝুঁকিপুর্ণ নাগরিকদের ন্যায্য ও প্রাপ্য সেবা প্রদানে সদা তৎপর রয়েছে। পশ্চাৎপদ ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে রূপান্তরিত করে জাতীয় উন্নয়েনের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে সরকার বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান ইত্যাদিসহ অর্ধশতাধিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সমাজে হতদরিদ্র, বেকার, ভূমিহীন, ভবঘুরে, আশ্রয়হীন, দুঃস্থ নারী, অনাথ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশু, অসহায় প্রবীণ, দরিদ্র রোগী, শারীরিক-বুদ্ধি-সামাজিক প্রতিবন্ধী এবং অটিস্টিক নাগরিকদের লাগসই কল্যাণ ও উন্নয়ন বিধানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গ্রাম ও শহর উভয় এলাকায় নিবিড়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ব্রিটিশ আমলে ১৯৪৩ সালে কিছু এতিমখানা স্থাপনের মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলে সরকারি সমাজসেবামূলক কাজের শুরু হয় । ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর এ ভূখণ্ডের উদ্ভূত শরণার্থী সঙ্কট, দেশের অভ্যন্তরে হঠাৎ উপস্থিত বহুমাত্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমস্যা এবং তা নিরসনে দরকারি অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা জরুরি হয়ে পড়ে। পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৫১ সালে আগত জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটির দুই বছর মেয়াদি জরিপ ও গবেষণা ফলাফলের আলোকে দেওয়া পরামর্শের ভিত্তিতে ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ঢাকাতে শুরু করে সমাজকর্ম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। পেশাগতভাবে প্রশিক্ষিত সমাজকর্মীদেরকে নিয়োজিত করে ১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলিতে পরীক্ষামূলকভাবে শহর সমাজ উন্নয়ন বর্তমান শহর সমাজসেবা প্রকল্প চালু করা হয়। দেশে উপস্থিত সামাজিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সমাজকল্যাণ কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগসমূহ উৎসাহিত ও সক্রিয় করার লক্ষ্যে একটি সরকারী রেজল্যুশনের মাধ্যমে ১৯৫৬ সালে গঠিত হয় জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ। একইভাবে, ১৯৫৮ সালে চিকিৎসা সমাজকর্ম, ১৯৬১ সালে সংশোধনমূলক কার্যক্রম এবং প্রতিবন্ধী কল্যাণ কার্যক্রম, ১৯৬৯ সালে স্কুল সমাজকর্ম (১৯৮৩ সালে বিলুপ্ত) চালু করা হয়।
বর্তমান সরকার দেশের কমবেশি একতৃতিয়াংশ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় আনার মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের দারিদ্রমোচন,মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় খাদ্য সহায়তা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, খোলা বাজারে পণ্য বিক্রিসহ নানাবিধ কর্মসূচির পাশাপাশি সরকার নগদ অর্থ সহায়তাও দিয়ে থাকে।
বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিঃ ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর হতে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়। শুরুতে প্রতি ওয়ার্ডের ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হতো। পর্যায়মে ভাতাভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সমাজের দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি যাদের বয়স পুরুষের ক্ষেত্রে ৬৫ বছর বা তদুর্দ্ধ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬২ বছর বা তদুর্ধ তারা এ কর্মসূচির আওতায় আসতে পারেন।
বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা কার্যক্রমঃ দরিদ্র, ঝুঁকিপূর্ণ ও অনগ্রসর নারীর সামাজিক সুরক্ষা ও তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা’ কর্মসূচি চালু করে। শুরুতে এ কর্মসূচির আওতায় ৪.০৩ লক্ষ জন নারী মাসিক ১০০ টাকা হারে ভাতা পেতেন। বর্তমানে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতাঃ ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রথমবারের মত মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু করা হয়। এর আওতায় মূলত পল্লী এলাকার দরিদ্র মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এ কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্র গর্ভবতী মহিলাদের ভাতা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। আগে মাসিক ৫০০ টাকা হারে এ ভাতা প্রদান করা হতো। বর্তমানে দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন মাসিক ভাতা ৮০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও, ভাতা প্রদানের মেয়াদ ২৪ মাস থেকে বৃদ্ধি করে ৩৬ মাস করা হয়েছে।
কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলঃ ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। শহরাঞ্চলে কর্মজীবী দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য ও তাদের গর্ভস্থ সন্তান বা নবজাত শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তার উদ্দেশ্যে এই ভাতা প্রদান করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর গার্মেন্টস শিল্প এলাকা এবং দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভাকে এই কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে একজন মা মাসে ৫০০ টাকা করে ২৪ মাস পর্যন্ত এ সহায়তা পেতেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে ভাতার পরিমাণ ও মেয়াদ দুটোই বৃদ্ধি করা হয়েছে।বর্তমানে একজন মা মাসে ৮০০ টাকা করে ৩৬ মাস পর্যন্ত এ সহায়তা পান।
মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাঃ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা মাসিক ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতাসহ ১০ হাজার টাকা হারে বছরে ২টি উৎসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠদের ৩৫ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের ২৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের সকল জেলায় সব মুক্তিযোদ্ধাদের G2P পদ্ধতিতে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতার পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে বাংলা নববর্ষ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ সম্মানী ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের পরিবারবর্গ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণেও সরকার কাজ করছে। শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতার জন্যে পৃথক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিঃ ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাইলট হিসেবে দেশের ৭টি জেলা যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, যশোর, নওগাঁ ও হবিগঞ্জ জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। বর্তমানে কর্মসূচি সম্প্রসারণ করে মোট ৬৪ জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিঃ এ কর্মসূচিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বসবাসরত ৫০ লাখ হত দরিদ্র পরিবারকে (বিধবা, বয়স্কা, পরিবার প্রধান নারী, নিম্ন আয়ের দুঃস্থ পরিবার প্রধানকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে) তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রতি বছর কর্মাভাবকালীন ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে এ কর্মসূচির তালিকাভুক্ত পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়।
ওএমএস কর্মসূচিঃ নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কর্মসূচি চালু করে। এ কর্মসূচির আওতায় বিশেষ ভর্তুকির মাধ্যমে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে খাদ্য সামগ্রী (চাল ও আটা) বিক্রয় করা হয়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় ২০১৪ সালের প্রথমার্ধ থেকে দু:স্থ জনগোষ্ঠী উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচিতে তিনটি জেলার ৫টি উপজেলায় উপকারভোগীদের মধ্যে পুষ্টিচাল বিতরণের কাজ ধাপে ধাপে প্রচলন করা হয়। বর্তমানে ১৭০টি উপজেলায় পুষ্টিচাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে।এছাড়াও, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির পুষ্টি চাহিদা পূরণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ভিটামিন এ, বি১, বি১২, ফলিক এসিড, আয়রণ ও জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টিচালও বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১৭- ১৮ অর্থবছরে কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে পুষ্টিচাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে সর্বমোট ২৫১টি উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পুষ্টিচাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়াধীন কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি চলমান রয়েছে। সাধারণত দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে দরিদ্র মানুষের জীবিকা পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহকে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতি পরিবারকে মাসিক ২০-৪০ কেজি করে ২ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত এ সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও, মা ইলিশ ও জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেরাও ভিজিএফ সহায়তা পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে দরিদ্র জনগণও ভিজিএফ সহায়তা পান।
অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতাঃ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে চালু করা হয় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচি। এ কর্মসুচির আওতায় শুরুতে ১,০৪,১৬৬ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মাসিক ২০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হতো। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভাতাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মাসিক ভাতার পরিমাণ ৭৫০ টাকা হতে টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   মধ্যবিত্তের ঘাড়ে জোর করে চেপে বসেছে ‘ঈদ–বকশিশ’

সরকারের নানামূখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশের দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্য উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেলেও সরকারের লক্ষ্য হল দেশকে সম্পূর্ণরূপে দারিদ্র্যমুক্ত করা। উচ্চ প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রগতিশীল কর কাঠামো, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম ইত্যাদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখে। এর বাইরে দারিদ্র্য হ্রাসের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সরকার বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম, পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম, দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন, শহর সমাজ উন্নয়ন নামক ৪টি কার্যক্রমের আওতায় ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে পরিবার প্রতি ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিতরণ করা হচ্ছে। এসব ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম প্রান্তিক চাষী, দিনমজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগণকে সুরক্ষা প্রদান ও গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য ধরে রাখার মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে। শহর সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার উদ্দেশ্যে জনপ্রতি ১ লক্ষ টাকা হারে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার অপেক্ষাকৃত বঞ্চিতদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করার জন্য সিএমএসএমই স্টার্টআপ ও নারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য জামানত শিথিল করে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম বাস্তবায়ন করছে।

আরও পড়ুনঃ   পর্যটন শান্তির সোপান

দেশের বর্তমান দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ছিল ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অপরদিকে অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ছিল ২০১৬ সালে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। সুতরাং দেশের সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার উন্নীত হয়েছে। পরিবর্তন ঘটেছে আঞ্চলিক দারিদ্র্যের উন্নয়নে। মঙ্গাপীড়িত রংপুর বিভাগে দারিদ্র্য হারের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, চিকিৎসা, আবাসন, বিশুদ্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, যৌতুক, বাল্যবিয়ে, দৈনিক মজুরি, মাথাপিছু আয়, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণসহ প্রতিটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে যারা পিছিয়ে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলাতে যারা অক্ষম,তাদেরকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
#
পিআইডি ফিচার