রাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাতভর ছাত্রলীগের দুইপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসনের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

কমিটির আহ্বায়ক হলেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. অনুপম হিরা মন্ডল। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. ফারুক হোসেন ও তানভীর ভূইয়া।

প্রাধ্যক্ষ জানান, গত ১১ মে সংঘর্ষ ও ১৩ মে মধ্যরাতে হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি হল প্রশাসনের নজরে এসেছে। এজন্য আজ এক সভা করেছি আমরা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হলেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. অনুপম হিরা মন্ডল। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. ফারুক হোসেন ও তানভীর ভূইয়া। হলের অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৬ মে দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   সরকারি মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণির নবীন বরণ

তিনি আরও বলেন, গত ১১ মে মধ্যরাতে সংঘর্ষের পরদিন সকালে নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করে সভাপতি-সম্পাদক প্যানেলের অনুসারী আতিকুর রহমান, শামসুল আরিফিন খান সানি, আজিজুল হক আকাশসহ অজ্ঞাত কয়েকজন হলের কর্মচারী মনিরুল ইসলামকে মারধর করে। এ ঘটনায় সেদিনই হল প্রশাসনকে এই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। সভায় সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১০,মাদকদ্রব্য উদ্ধার

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. অনুপম হিরা মন্ডল বলেন, কর্মচারীর অভিযোগ ও সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় হল প্রশাসন সরাসরি কোনো শাস্তি দিতে পারেনি। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।