একই পদে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লড়াই

মোহাঃ আসলাম আলী,স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘায় আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই প্রার্থীর মধ্যে শুরু হয়েছে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ। উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান নিপ্পন এবং সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইচ চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস সরকার এর মধ্যে শুরু হয়েছে ভোটের লড়াই।

জানা গেছে,এ বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম বারের ন্যায় (ডিজিটাল পদ্ধতি) অনলাইনে আবেদন করেছেন প্রার্থীগণ।
এ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ’লীগের প্রার্থী দাবি করে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বর্ধিত সভার মাধ্যমে প্রচার,প্রচারনা গণসংযোগ করে চলছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপ্পন। তার সাথে রয়েছেন,(চারঘাট-বাঘার) সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি এর আস্তাভাজন ও তাঁর অনুসারী উপজেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠন একাংশের নেতৃবৃন্দ। অপর দিকে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন,উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইচ চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস সরকার। তার সাথে রয়েছেন,গণমানুষের নেতা জেলা আ’লীগের সদস্য ও বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী,পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ-সহ আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠন একাংশের নেতৃবৃন্দের বড় একটি অংশ।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে সরকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সাথে মতবিনিময় সভা

কামরুজ্জামান নিপ্পন বলেন,আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইচ চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস সরকার দির্ঘ পাঁচ বছরে এলাকায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। বরং তিনি নিজের আখের গোছাতে ও তার ভাগ্য উন্নয়নে ব্যাস্ত সময় পার করেছেন। যার কারণে এবার ভোটারা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে এবং নতুন প্রার্থী হিসেবে আমাকে বিজয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী অপর প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইচ চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস সরকার উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পাড়া-মহল্লা ও বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

আরও পড়ুনঃ   দুর্গাপুরে ছিনতাই ও চাঁদাদাবির অভিযোগে এক যুবক গ্রেপ্তার

তিনি জানান,যিনি নিজেকে উপজেলা আ’লীগ দাবি করে প্যানেল ঘোষনার মাধ্যমে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে সভা-সমাবেশ করে বেড়াচ্ছে এবারের নির্বাচনের জন্য এটা আইন পরিপন্থী। বিষয়টি তার জানা উচিৎ ছিল বলে আমি মনে করি। এছাড়া এসব প্যানেল ষোষণা করে কোন লাভ নেই,কারণ আমি দির্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক দৃশ্যমান অনেক কাজ করেছি এবং সুখে,দুঃখে সব সময় মানুষের পার্শ্বে রয়েছি। এছাড়া তাদের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করে চলেছি। তাই একজন সৎ,যোগ্য,সময়োপযোগী,মাদক মুক্ত প্রার্থী হিসেবে ভোটাররা আমাকেই বেছে নিবে এবং আবারও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আমি আশাবাদী ইনশাআল্লাহ।