স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহযোগিতায় দু’দিনব্যাপী ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে শুরু হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) সকালে রাজশাহী কোর্ট একাডেমি চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এরপর, রাজশাহী কোর্ট একাডেমির সভাকক্ষে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী সমৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ শেষ হবে বৃহস্পতিবার (৯ মে)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। আর উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো প্রযুক্তি। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব। এক্ষেত্রে তরুণ বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নয়নে যথার্থ ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখছি তা টেকসই হবে না। তিনি তরুণ বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে বিশ্বের দরবারে একটি অন্যতম উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে উঠতে হবে। দেশকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপনার জন্য শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকে নিজের মেধাকে বিকশিত করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও নওহাটা সরকারি ডিগ্ৰী কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৫ টি স্টল মেলায় স্থান পেয়েছে। মেলায় জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারা মেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, তরুন বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনের ফলে পাল্টে যাবে দেশ। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে পরিবর্তন আনবে এই মেলা। বিশেষ করে তরুন সমাজকে বিকশিত করার অপূর্ব সুযোগ রয়েছে এই মেলায়। তরুন সমাজকে অশ্লীলতা, মাদকাশক্তি, মোবাইল আসক্তিসহ সব ধরনের সামাজিক অপরাধ থেকে ফিরিয়ে এনে বিজ্ঞান চর্চায় মগ্ন থাকলে তাদেরও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটবে এবং উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন। সে কারণে আমরা সারা দেশের ন্যায় রাজশাহী জেলায় বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছি। এই মেলা থেকে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদেরকে তৈরি করতে পারবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মহিনুল হাসান, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব আশিক জামান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) ফাবলিহা আনবার, রাজশাহী কোর্ট একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বাবু সহ জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ।