মাদক ও আটক বাণিজ্যের অভিযোগে গোদাগাড়ী থানার ৬ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: মাদকের সাথে জড়িত ও আটক বাণিজ্যর অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৫ জন দারগা ও একজন কনেস্টবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরামুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সত্যব্রত, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল করিম. সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রঞ্জু, ও কনেস্টবল মাহবুব।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রোববার বিকালে পুলিশ সাইফুর রহমান (পিপিএম) গোদাগাড়ী মডেল থানা পরিদর্শনে এসে ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যদের অপরাধ সম্পর্কে অবহিত হন। এরপর ফিরে গিয়ে ৬জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুনঃ   রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’: ভোগান্তিতে রোগীরা

গোদাগাড়ী মডেল অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, ৬জন পুলিশ সদস্যকে রাতেই থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া ৬জন পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের মাসোয়াহারা নিয়ে সহযোগিতা আটক করে মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ আছে পুলিশ সুপারের কাছে বলে পুলিশ একটি সূত্র জানায়।

আরও পড়ুনঃ   আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বিষয়ক আরএমপি'র মতবিনিময় সভা

রোববার সকালে দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কোদালকাটি গ্রামের বাদেফুল ইমলামের ছেলে আব্দুস সামাদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় এসআই আকরামুজ্জামান।

আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এর আগে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে আটকের অভিযোগে গোদাগাড়ী মডেল থানার প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রর চারজন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে করা হয়।