অনলাইন ডেস্ক : তাপপ্রবাহে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (২ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহারিয়ার জনস্বার্থে এ আইনি নোটিশ পাঠান।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সময়ে ক্লাসের সময় সকাল শিফট ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালু রাখতে হবে।
এর আগে, রমজান মাস, স্বাধীনতা দিবস, ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি সমন্বয় করে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২১ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত পাঠদান শুরুর কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০ এপ্রিল এক সপ্তাহ ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ছুটির পর ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। তবে একদিন ক্লাস করেই তাপপ্রবাহের কারণে সোমবারের জন্য পাঁচ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর মঙ্গলবার দুটি বিভাগের সব জেলাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এই ছুটির পর ৫ মে থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ৪ মে থেকে মাধ্যমিকে ক্লাস শুরু হচ্ছে। শিখন ঘাটতি মেটাতে আপাতত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবার পাঠদান চলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।