– জাকিয়া আহমেদ
বৈশাখের অর্ধেক মাত্র শেষ হয়েছে, কিন্তু সূর্য তাপ ছড়াচ্ছে অকাতরে। তীব্র তাপদাহে দেশে চতুর্থবারের মত হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালের পর আবারো দেশের তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ালো ৪২.৬। তাপপ্রবাহের রেকর্ড আরো ভাঙবে বলে আশংকা করছে আবহাওয়াবিদগণ।এমন অসহনীয় তাপমাত্রায়গরমে অসুস্থ হচ্ছে মানুষ, বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। এ অবস্থায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে জানিয়ে বাড়তি সতর্কতার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।গত ২৫ এপ্রিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ জানায়, ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যজাত ও অল্প বয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়া এবং উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ বাবা-মায়েদের প্রতিতাদের সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে।চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরী পদক্ষেপ নেবার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায়, আমাদেরকে আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।চলমান এই তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য ইউনিসেফ সম্মুখ সারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছে:প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠাণ্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা: যদি কোনো শিশুবা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমিবমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশীতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যান যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠাণ্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবারস্যালাইন (ওআরএস) পান করতে দিন। তবে হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে (যেমন কনো কিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে) সাথে সাথে হাসপাতালে নিতে হবে।আপনার প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখুন: তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতেও তারাই বেশী থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ৩৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ওপরের তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই পরিক্রমায় বাড়ছে নানা ধরনের রোগ-বালাই। বিশেষ করে হিটস্ট্রোক হলে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে গরম ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা। গরমে অসুস্থ হয়ে অথবা হিটস্ট্রোকে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শিশু-বৃদ্ধসহ কেউ না কেউ।হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। যেখানে খুব প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চা ও কফি কম কম খেয়ে পানি, লবণযুক্ত পানীয় বা স্যালাইন, ফলের জুস, দই, মাঠা, ঘোল, লাচ্ছি খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র এ গরমে বেশি প্রভাব ফেলে শিশু, বৃদ্ধ ও শ্রমজীবী মানুষের উপর। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে কাজ করা কৃষক, রিকশাচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিকরা। সেইসঙ্গে যারা দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছেন, সেই জনগোষ্ঠী। প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয় মানুষ, তখন সে অজ্ঞান হয়ে যাবে। এ সময় শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়, শরীর থেকে লবনপানি বের হয়ে যায়। তখনই মানুষ অজ্ঞান হয়, খিচুঁনি হয়। কিন্তু যদি সেসময় সঠিক চিকিৎসা না দেওয়া হয় তখন তাঁর মৃত্যুও হতে পারে এবং হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, যতোটা সম্ভব এ সময় বাইরে বের না হবার চেষ্টা করতে হবে। আর যদি যেতেই হয়, তাহলে ছাতা সঙ্গে রাখতে হবে, পানি পান করতে হবে বারবার। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়; তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।হিট স্ট্রোকের আগের অবস্থা সর্ম্পকে জানিয়ে তিনি বলেন, একে বলা হয় ‘হিট এক্সরসন’। এ সময়ে শরীর দূর্বল হবে, হাত পা অবশ হয়ে যাবে, কনফিউশন স্টেজ (চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘোরা, বুক ধরফর করার মতো অবস্থা) । লিভার-কিডনি ড্যামেজ হবার মতো ঘটনাও ঘটে। এরকম অনুবব করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পানি খেতে হবে, শরীরে পানি ঢালতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী ফ্লোরা বলেন, তাপমাত্রার যে অবস্থা তাতে করে হিটস্ট্রোকের রোগী বাড়তে পারে। আর সেটা মাথায় রেখেই অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি করছে, বর্তমানে তার খসড়া তৈরির কাজ চলছে। এখানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং জনসচেতনতা-সবকিছু একসঙ্গে করা হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু, করোনার রোগীদের চিকিৎসার মতো হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ হবে সেখানে।জনসচেতনতা গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। ধীরে ধীরে পুরো দেশে এ নিয়ে কাজ করা হবে আগামী কয়েকদিনের ভেতরেই।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দেশের এই সময়ে হিটস্ট্রোককে অভিহিত করলেন ‘জনস্বাস্থ্যের জরুরি সমস্যা’ হিসেবে।কেন এটা জরুরি সমস্যা? এই প্রশ্নে মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক বলেন, যখনই যেটাই স্বাভাবিকতাকে অতিক্রম করবে, সেটাই স্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা। তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষন দিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেটা করছে।
সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দেশের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সম্প্রতি সারাদেশের সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশ দিয়ে তিনি জানান, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে এই নীতিমালা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সব হাসপাতাল খালি রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী জানান, যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে। হাসপাতালগুলোতে গরমের এই সময়ে ‘পর্যাপ্ত’ স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রয়েছে।তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ডিউটি ফোরকাস্ট অফিসার মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার তাপমাত্রা বাড়লেও, তা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে, এবার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অনুভূত তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও এটি আমাদের শরীরে অনুভূত হতে পারে ৪৫ থেকেও অনেক বেশি।শিশুদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্য সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনাও পৌঁছে গেছে। মহাখালীতে অবস্থিত করোনার চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড করা ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।তীব্র গরম ও আর্দ্রতা মোটামোটি সবার কাছেই অস্বস্তিকর। তবে গবেষণা বলছে, এই ধরনের পরিস্থিতি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর হতে পারে। অত্যধিক তাপমাত্রা মন ও মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে। এমনকি এর কারণে গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে।বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপদাহ, দাবানল ও আবহাওয়া-সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনাগুলোর পরিমাণ ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর বিরূপ প্রভাবও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ নির্দেশনা
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এরমধ্যে জানানো হয়েছে, অত্যধিক তাপ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যে বিপজ্জনক। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী মহিলা, বয়োবৃদ্ধ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগাক্রান্ত যেমন-ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি।সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম এবং তারা নিজেরা কিছু করতে পারে না। এজন্য শিশুদের বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।নির্দেশণায় বলা হয়েছে, পরিবারের পূর্ণবয়স্ক সদস্য, শিশু, গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ এবং অন্য দীর্ঘমেয়াদী রোগে যারা আক্রান্ত তাদের অতিরিক্ত গরম লাগছে কিনা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা মুখ আঠালো হওয়াসহ মাথাব্যাথার মত লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সেইসঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকলে এ নিয়ে আগে থেকেই কী করতে হবে সে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অব্যশই নিতে হবে।
অধিদপ্তরের নির্দেশিকায় আরও রয়েছে, অতিরিক্ত তাপ পানিশূন্যতা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো মৃদু স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে, পাশাপাশি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- হৃদরোগ, কিডনীর সমস্যা, পেশী ও স্নায়ুর বৈকল্য, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত তাপের গুরুতর উপসর্গগুলোর জন্যে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে কনফিউশন বা বিভ্রান্তি, শরীর অসাড় হয়ে পড়া, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, হ্রদস্পন্দন বা শ্বাসক্রিয়ার হার বেড়ে যাওয়া ও খিঁচুনি হওয়া।
সঙ্গে গরম থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, যদি একান্তই কাজ করতে হয়, তাহলে মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হবে, পানি পান করতে হবে প্রচুর, তবে হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরী পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলার কথা বলেছে অধিদপ্তর। -পিআইডি ফিচার