অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্বব্যাপী তেল ও স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে এবং শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে এশিয়ার বাণিজ্যে ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল প্রতি ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রায় ৯০ ডলারে পৌঁছেছে, এ সময় সোনা প্রতি আউন্স ২৪০০ ডলারের ওপরে নতুন রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি লেনদেন করছে। বৃহস্পতিবার প্রতি আউন্স স্বর্ণ কেনাবেচা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪০ ডলারে।
এদিকে হামলার পর জাপান, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়ার বেঞ্চমার্ক স্টক সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইরান জানিয়েছে, ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। আপাতত কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নেই।
এদিকে, ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল।
এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।