অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহীতে আজ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি, যা চলতি মৌসুমে এই বিভাগীয় শহরটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ।
উত্তপ্ত আবহওয়ায় বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। একটু শীতল প্রশান্তির জন্য শিশু-কিশোররা পুকুর, নদী-নালার পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। পথচারীরা টিউবয়েলের পানিতে মুখ ভিজিয়ে উত্তপ্ত আবহাওয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে।
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক লোকজন গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে। তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। সকাল থেকে দুপুর গড়াতেই বাতাসের আর্দ্রতা কমে আসছে, ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে। তবে বেশ কয়েক দিন থেকে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঊর্ধ্বগতির দিকে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
নগরীর ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক মানিক আলী বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপদাহ বাড়ে। তাতে আমাদের কষ্টও বাড়ে। যতই রোদ হোক না কেন অটোরিকশা চালাতেই হবে। অটোরিকশায় চালকের আসনের উপরে ছাদ নেই। তাই সব রোদ চালকের শরীরে পড়ে। একদিকে রোদের , অপরদিকে পিচ ঢালা সড়কে থেকে ওঠা তাপে মনে হয় যেন গলে যাচ্ছি।’
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, ‘রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যা চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শিগগির বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।’