লালপুরে পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুরে পঞ্চাশোর্ধ এক বয়স্ক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১৩ এপ্রিল বাদী হয়ে খায়রুল (৩২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত খায়রুল উপজেলার ওয়ালিয়া সেন্টার পাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত খায়রুল পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী জানান- গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত্রি আনুমানিক দশটার দিকে বাড়ির পাশেই তার প্রতিবন্ধী ছেলের দোকান থেকে ফেরার সময় একই এলাকার খাইরুল তার মুখ চেপে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে ভুক্তভোগীর পরনের শাড়ি দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ অবস্থায় তাৎক্ষণিক খাইরুলের পিতা আলাল কে জানালে তিনি বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভুক্তভোগী নারীকে বলেন। পরে ঐ নারী বাড়ী গিয়ে পরিবারকে জানালে তাকে দ্রুত লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলে মামলা করতে নিষেধ করেন প্রতিবেশীসহ কয়েকজন।

আরও পড়ুনঃ   যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন, কারাগারে স্বামী

অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে এসব বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন- আমার স্ত্রী বয়স্ক অসুস্থ মানুষ, তার সাথে এমন ঘটনা ঘটলে, এই এলাকার কোন মেয়ে নিরাপদ নয় খায়রুলের কাছে। খায়রুল ইতিপূর্বে তার পরিবারের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি খায়রুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই, যেনো আর কোন নারীর সাথে এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।

ধর্ষণের শিকার নারীর মেয়ে বলেন- আমার মা অসুস্থ, এ অবস্থায় এমন ঘটনা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না, আমরা ধর্ষক খাইরুলের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই । খায়রুলের পিতা আলাল উদ্দিন বলেন ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার ছেলে নিরপরাধ। অপরদিকে রবিবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর পরিবার খাইরুলের বাড়িতে হামলা চালায়, এতে খায়রুলের পিতা আলাউদ্দিন মাথায় ও চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

আরও পড়ুনঃ   নিজেরাই ফাঁসলেন তারা!

তাৎক্ষণিক তাকে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে , কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

এ বিষয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে, অপরদিকে আলাউদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।