দেশের কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, নতুনভাবে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত সৃষ্টি করা হলে আগামী দিনের জন্য তা হবে অত্যন্ত খারাপ। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের স্বার্থের জন্য এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর একক প্রচেষ্টায় নিরসন করেছিলেন।

শুক্রবার খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড এলাকার রাস্তার প্রান্তে ১২দিন ব্যাপী বৈসাবি মেলার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের চিন্তা, চেতনা, দৃষ্টিভংগি সবার এক নাও হতে পারে। কিন্তু সকলের একটাই লক্ষ্য দেশটা আমাদের সকলের।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হউক, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে যাতে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হই।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। উৎসব উপলক্ষ্যে বৈসাবি মেলা’র এ আয়োজন মানুষের সাথে মানুষের মিলন, সৌহার্দ্র্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আগের চেয়ে আরও দৃঢ় করেছে।

আরও পড়ুনঃ   ১২৫ কোটি টাকার প্রকল্প বন্ধে ডিও দিয়েছেন এমপি ওদুদ: অভিযোগ পৌর মেয়রের

তিনি বলেন, সংস্কৃতিকে আবহমানকাল থেকে ধরে রাখার জন্য মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। মার্জিতভাবে সকল ভালো কাজগুলো সকলের উদযাপন করা উচিত। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের নিজস্ব একটি সংস্কৃতি ও কৃষ্টি আছে। আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি আমার নিজস্ব পরিচয়। অপসংস্কৃতিকে কোনোভাবেই এখানে ধারণ করা উচিত নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, বৈসাবি বা বৈসু উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্র্য ও আন্তরিকতা গড়ে ওঠবে। সকল ভাষাভাষি ও সকল সংস্কৃতি, কৃষ্টির মাঝে ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমমন্ত্রীও চান যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী একাকার হয়ে উন্নয়নের অংশীদার হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা পার্বত্যবাসীদের সে লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।

আরও পড়ুনঃ   বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে বৈসাবি উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হয়। বৈসাবি এ মেলায় বিভিন্ন পাহাড়ি পণ্যসামগ্রীর স্টল দিয়ে পাহাড়ি তরুণ তরুণিরা ১২ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যান্ত মেতে ছিল। এ মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ফুটে ওঠেছে।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রবি শংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ শানে আলম, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদ কংজরী মারমা, বিশিষ্টি সমাজ সেবক সুধাকর ত্রিপুরা,পাজেপ সাবেক প্রসানিক কর্মকর্তা প্রিয় কুমার চাকমা, পৌর কমিশনার মংগনু মারমা উপস্থিত ছিলেন।