চার ম্যাচে মুস্তাফিজের সামনে দুই রেকর্ডের হাতছানি

অনলাইন ডেস্ক : ২০১৬ সাল। মুস্তাফিজুর রহমানের মুখ থেকে তখনও কৌশরের ছাপ মুছে যায়নি। বাংলাদেশের ক্রিকেট তখন মুস্তাফিজের প্রতি মুগ্ধ। সে বছর মুস্তাফিজকে দলে টেনেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মুস্তাফিজও সেবারই দেখিয়েছিলেন নিজের কারিশমা। সেই বছর সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের খেতাব পেয়েছিলেন তিনি। লম্বা সময় পর ২০২৪ সালে এসে আবার সেই একই ধাঁচের পারফর্ম করে যাচ্ছেন দ্য ফিজ।

২০২৪ আইপিএলে এসে নিজেকে যেন আবার ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশের এই পেস বোলার। চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে নিজের স্লোয়ার আর কাটারকে আরও শাণিত করেছেন। ফলাফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। অন্তত হোম গ্রাউন্ড এম চিদাম্বারামে দ্য ফিজকে সামাল দেওয়াই যেন অসম্ভব। এরইমাঝে পেয়েছেন ৯ উইকেট। যার ৮টিই এসেছে হোমভেন্যুতে।

ফিজ এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৯ উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় আছেন তিন নাম্বারে। পার্পল ক্যাপের দৌড়ে ফিজ অবশ্য শেষ পর্যন্ত থাকছেন না সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ দেশের হয়ে খেলতে ফিরে আসতে হবে এই পেসারকে। তবে আরও দুটো রেকর্ড ঠিকই হাতছানি দিচ্ছে ফিজকে।

আরও পড়ুনঃ   সেরা দশে মেহেদি, ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে তাসকিন-রিশাদ

আইপিএলে এখন পর্যন্ত নিয়মিত খেলেছেন দুজন বাংলাদেশি। মুস্তাফিজ নিজে এবং সাকিব আল হাসান। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই লিগের এক মৌসুমে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড ফিজের নিজের। ২০১৬ সালেই পেয়েছিলেন ১৭ উইকেট। সেটাই সর্বোচ্চ। এরপরেই সাকিবের ২০১৮ সালের ও মুস্তাফিজের ২০২১ সালের ১৪ উইকেট। এবারের আসরে ফিজ আর ৯ উইকেট পেলেই এক মৌসুমে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়বেন।
শুধু তাইই না। পরের ম্যাচগুলোতে ৯ উইকেট পেলে ফিজের মোট উইকেট হবে ৬৫টি। সাকিব আল হাসানকে টপকে তখন তিনিই হবেন আইপিএলে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। ৭১ ম্যাচে সাকিব পেয়েছেন ৬৩ উইকেট। আর মুস্তাফিজ ৫২ ম্যাচে পেয়েছেন ৫৬ উইকেট।

আরও পড়ুনঃ   ওযু করা ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করত না, মুশফিককে নিয়ে তার স্ত্রী

তবে এই রেকর্ড করার জন্য ফিজের হাতে খুব একটা সময় নেই। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশি পেসারের এনওসি মেয়াদ আছে। এই সময়ের মধ্যে ৪টি ম্যাচ খেলতে পারবেন ফিজ। যেখানে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে তারই সাবেক দুই দল। ১৪ই এপ্রিল মুম্বাইয়ের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে খেলবেন ফিজ।

পরের দুই ম্যাচই লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে। ১৯ এপ্রিল খেলা হবে লখনৌর মাঠে আর ২৩শে এপ্রিল খেলতে হবে নিজেদের ডেরা চিপাকে। আর এই আসরে মুস্তাফিজ শেষবার খেলবেন ২৮শে এপ্রিল। সেদিন চিপাকে তার প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।