ঘরবন্দি ছিলেন কেন তমা মির্জা?

অনলাইন ডেস্ক : অনেক সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে চরিত্রের মধ্যে এতটা ঢুকে পড়েন যে, তা থেকে বের হতে তাদের সময় লাগে।

তবে ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির্জার সঙ্গে ঘটে যায় একটু অন্যরকম ঘটনা। যার কারণে তিনদিন নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখেন অভিনেত্রী।

তমা বলেন, একজন অভিনেত্রী সব সময়ই পর্দায় তার অভিনীত চরিত্রকে পারফেক্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে চান। আমিও সব সময় সেটাই চেষ্টা করি।

আরও পড়ুনঃ   হানিমুনে গিয়েও স্ত্রীকে রেখে কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন এ আর রহমান

এরপরই তমা বলেন, ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়টা আমার এখনো মনে আছে। নিজের বাবার গলা কাটার একটি দৃশ্য ছিল। আমি পশু-পাখিদের খুব ভালোবাসি। রক্ত আমি একদমই সহ্য করতে পারি না। তারপরও আমি যখন ক্যামেরার সামনে চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে আমার বাবার গলা কাটছিলাম, তখন কৃত্রিম লাল রং আমার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছিল।

তিনি বলেন, আমি মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছিলাম। কারণ গলায় নকল চামড়া লাগিয়ে তার ভেতর লাল রঙ এমনভাবে সেট করা ছিল যে, আমি যখন গলা কাটার দৃশ্য করছি তখন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম।

আরও পড়ুনঃ   সেই আফরান নিশোর সঙ্গেই ফিরছেন তমা মির্জা

এরপর তমা বলেন, আমার একা থাকার প্রবণতা মার চোখে পড়তেই মাকে সব খুলে বলি। ওই দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ দেখাই। আমার মা সে ভিডিও দেখে আমাকে বলে, ‘এটা তুমি কী করেছ! এই কাজ করে এসেছো, এখন তো তুমি যে কোনো কাজ করতে পারবে!’