ঈদের ছুটিতে উত্তরা গণভবনে দর্শনার্থীদের ভিড়

অনলাইন ডেস্ক : ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত উত্তরা গণভবন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে ঈদের ছুটি উপভোগ করতে হাজারো দর্শনার্থী আসছেন উত্তরা গণভবনে। ইতিহাস, ঐতিহ্য জানার পাশাপাশি নানা রংয়ের রঙের বাহারি ফুলের সঙ্গে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করছেন দর্শনার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে দর্শানার্থীর সংখ্যা।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গণভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীরা। হেঁটে, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক কিংবা দূরপাল্লার বাসে চড়ে এসেছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। রয়েছে টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন।

টিকিট চেকিংয়ের মাধ্যমে উত্তরা গণভবনের মূল ফটক পার হলেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির সারি সারি ফুলের গাছ ও দিঘির পানিতে ভেসে থাকা মাছ। আরেকটু ভেতরে ঢুকতেই পারিজাত ফুল ও স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে মিনি চিড়িয়াখানা আর সংগ্রহশালা দেখে খুশি শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী দর্শনার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ   রাজনীতি করতে রাজকীয় মন দরকার: জামায়াতে আমির

রাজশাহী থেকে গণভবনে ঘুরতে আসা রোকনুজ্জামান বলেন, ঈদ পরবর্তী সময়ে মূলত ছেলে-মেয়েদের আনন্দ বিনোদনের জন্যই গণভবনে ঘুরতে আসা। এখানকার সব কিছুই চমৎকার। তবে দর্শনার্থীদের জন্য আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা এখানে রাখা উচিত ছিল, বিশেষ করে পানির ব্যবস্থা।

দর্শনার্থী আকসা আয়েলিতা খান বলেন, গণভবনে ঘুরতে এসে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ দেখলাম। এখানকার ভবনগুলো অনেক পুরোনো এবং রাজকীয়। এখানে আসলে রাজাদের আমলের অনেক কিছু অনুমান করা যায়। যা বইতে আমরা পড়ি। এখানকার অনেক কিছুই সরাসরি দেখে খুব ভালো লাগছে। আমার নতুন অভিজ্ঞতা হলো।

বুলটন আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটিতে সবার মতো আমি উত্তরা গণভবনে এসেছি। উত্তরা গণভবন চমৎকার একটি স্থান। এখানে এলে মনটা ভালো হয়ে যায়। এখানে বসে আড্ডা দেওয়া আর ঘুরে বেড়ানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সব মিলিয়ে দারুণ একটি স্থান।

আরও পড়ুনঃ   ‘ব্যারিস্টারে’র কথায় তরুণীকে শেকলে বেঁধে ধর্ষণ, পর্নো ভিডিও তৈরি

গণভবনের সহকারী হিসাব রক্ষক সোহাগ চন্দ্র বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে দর্শনার্থীদের অনেক বেশি ভিড়। এর কারণে একদিকে ঈদের ছুটি অন্যদিকে শুক্রবার। সারাদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসছেন।

নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ঈদের ছুটিতে উত্তরা গণভবনে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। আগত দর্শনার্থীদের চোখে গণভবনকে আকর্ষণীয় করার জন্য নানা প্রজাতির ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে পারেন তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন।