চুরির অপবাদে দারোয়ানকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে দারোয়ানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ভবন মালিকের দুই স্বজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জড়িতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। এঘটনায় পলাতক রয়েছে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ভবন মালিক ও তার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী দারোয়ানের নাম মো. শহীদুল্লাহ। তিনি বাঁশখালী উপজেলা বাহাড়ছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজ আহম্মদের ছেলে। শহীদুল্লাহ চান্দগাঁও থানার বাস টার্মিনাল ছিদ্দিক ম্যানশনে দারোয়ান হিসেবে চাকরি করতেন। গত রোববার (৭ এপ্রিল) চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে ভবনের মালিক মো. আবু ছিদ্দিক, তার ছেলে শাওন, শ্যালক ফোরকানসহ কয়েকজন আত্মীয় মিলে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গোপন করে অভিযুক্ত অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর কথা বলে ভুক্তভোগীর মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেন।

আরও পড়ুনঃ   ডিবির অভিযানে চোলাইমদ ও গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

দাফনের আগে গোসলের সময় নিহতের দেহে জখমের চিহ্ন দেখে আঁতকে উঠেন স্বজনরা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশও। এরপরও অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ভবন মালিকের দুই স্বজনকে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, শহীদুল্লাহর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। মালিকের কথা বিশ্বাস করে তারা মরদেহ গ্রহণ করে। এরপর দাফনের আগে মরদেহ গোসলের সময় দেখা গেল ভুক্তভোগীর শরীরে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বাঁশখালী থানা পুলিশকে খবর দেয়। তারা গিয়ে এটি হত্যাকাণ্ড বলে শনাক্ত করে এবং বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে মরদেহ চট্টগ্রামে এনে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করি।

আরও পড়ুনঃ   শিল্প এলাকার ৪০ লাখ শ্রমিক পাবেন টিসিবির পণ্য, মঙ্গলবার উদ্বোধন

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরপরই আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমে যাই। কিন্তু ওই ভবনে গিয়ে আসামিদের পাইনি। তবে রাতে টানা অভিযান চালিয়ে চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে ফোরকান উদ্দীন (৩৭) ও মো. মামুন মিয়া (৩৮) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনে ভবন মালিক আবু ছিদ্দিকের নিকটাত্মীয়। এরমধ্যে ফোরকান আবু ছিদ্দিকের শ্যালক। তিনি মূলত আবু ছিদ্দিকের ব্যবসা দেখভাল করতেন। আর ভবন মালিক আবু ছিদ্দিক ও তার ছেলে শাওন দুজনেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন।

ওসি জাহিদুল কবির জানান, অভিযুক্তরা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।