হাসপাতালের গেটে সন্তান প্রসব, ৩ চিকিৎসক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক : প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে রাজি হননি চিকিৎসকরা। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের দরজার সামনেই সন্তানের জন্ম দেন এক নারী। এই ঘটনায় শাস্তির মুখে পড়েছেন সরকারি হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক।
তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ভবতী এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তির অস্বীকৃতি জানানো এবং পরে হাসপাতালের গেটের কাছে সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জয়পুরে একটি সরকারি হাসপাতালের তিন আবাসিক ডাক্তারকে রাজস্থান সরকার বৃহস্পতিবার বরখাস্ত করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ   রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উ. কোরিয়ার ১১০০ সৈন্য হতাহত

রাজ্যটির মেডিকেল শিক্ষার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব শুভ্র সিং বলেছেন, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে তার বিভাগ সরকারি বিবৃতি অনুসারে অবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বুধবার জয়পুরের কানওয়াটিয়া হাসপাতালে এক প্রসূতিকে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু অভিযোগ, চিকিৎসকেরা তাকে দেখে জানান, এখনই ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। পরে প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময়ই ওই নারীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। যার ফলে হাসপাতালের দরজায় সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হন ভুক্তভোগী ওই নারী।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পরেও হাসপাতালের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এরপরই হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন রোগীর আত্মীয়রা। পরে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

আরও পড়ুনঃ   নেতানিয়াহুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইসরায়েলের পুলিশ

অতিরিক্ত মুখ্যসচিব শুভ্রা সিং জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তে তিন জন চিকিৎসকের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জয়পুরের কানওয়াটিয়া হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট রাজেন্দ্র সিং তানওয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে।

যে তিন চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- কুসুম সাইনি, নেহা রাজাওয়াত এবং মনোজ। অন্যদিকে ভুক্তভোগী প্রসূতি এবং তার সদ্যোজাত সন্তান সুস্থ রয়েছেন।