অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রাইমারির গণ্ডিও পেরোতে পারেননি, কিন্তু ভুয়া সনদ নিয়ে নামের শুরুতে ডক্টরেট ডিগ্রি লাগিয়েছেন। নিজের মতো আরও কয়েকজন প্রতারক জুটিয়ে গড়ে তুলেছেন ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠন, নাম দিয়েছেন ‘আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন’। এই সংগঠনের ব্যানারে সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন করে চাপে ফেলে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। তার কবল থেকে বাদ যায়নি বর্তমান সংসদ সদস্যও। নিজেকে ভুয়া এই সংগঠনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া সুফি সাগর সামসকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াহেদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করার জন্য তার নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মিথ্যা অভিযোগে চিঠি দেয়। তারপর মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এই সামস। চাঁদা না দেওয়ায় সামস ও তার সহযোগীরা এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা শিরোনামে উচ্চ আদালতে মীমাংসিত বিষয়ে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এটি নজরে এলে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তে নেমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সামসকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সে নিজেকে বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি বিএইচপি’র মহাসচিব হিসেবে দাবি করে। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশনে এ নামের কোনো দলের নিবন্ধন নেই। তাকে মানবপাচারের অভিযোগে আমেরিকান অ্যাম্বাসির করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা আছে।
এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সামসকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।