স্টাফ রিপোর্টার : বিগত ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ভাষা আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহী’তে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য রচনা লিখন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
আলোচ্য প্রতিযোগিতায় রেঞ্জ কার্যালয়, জেলা পুলিশ, রাজশাহী, পিবিআই, রাজশাহী, নৌ-পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, সিআইডি, আরআরএফ ও
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্যের সন্তানদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আহবান করা হয়।
উক্ত প্রতিযোগিতায় (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ‘ক’ গ্রুপে অনধিক ৫০০ শব্দ দিয়ে ‘ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে) ও (৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ‘খ’ গ্রুপে অনধিক ৮০০ শব্দ দিয়ে ‘ভাষা আন্দোলন এবং বাংলা ভাষার বিশ্বায়ন’ সম্পর্কে) এবং (৯ম, ১০ম এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ‘গ’ গ্রুপে অনধিক ১০০০ শব্দ দিয়ে ‘ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’) সম্পর্কে রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়। এই প্রতিযোগিতায় প্রায় শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের খাতা রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এবং শহিদ ডিআইজি মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়।
রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র/ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), ফয়সল মাহমুদ, পিপিএম।
প্রধান অতিথি বলেন যে, (২৬ শে মার্চ) আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। প্রতিবছর এই দিনটি বাঙালির জীবনে বয়ে আনে একই সঙ্গে আনন্দ-বেদনার, অম্ল মধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে প্রাপ্তির আনন্দ। তবে শেষ পর্যন্ত সর্বস্ব হারিয়েও স্বাধীনতা প্রাপ্তির অপার অনন্দই বড় হয়ে ওঠে প্রতিটি বাঙালীর কাছে। গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি প্রতিবছর আসে আত্মত্যাগ ও আত্মপরিচয়ের বার্তা নিয়ে। স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য। নব উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে আসে এই দিন।
তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, জ্ঞানের চর্চা করার মূল মাধ্যম হচ্ছে বই পড়া। তিনি শিশুদেরকে ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক করেন। এবং অভিভাবকদেরকে শিশুদের ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ করেন। যে সমস্ত শিশুরা রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
সেই সাথে প্রধান অতিথি সুন্দর, ব্যতীক্রমধর্মী এবং সৃজনশীল অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহীকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
শিশুদের রচনা লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সাইফুর রহমান, পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, রাজশাহী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহী’র কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন কামরুন নাহার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহী।
এছাড়াও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ কার্যালয়, রাজশাহী, জেলা পুলিশ, রাজশাহী ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহী’র অফিসার ফোর্সসহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকৃত দুই শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছাত্র/ছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বই পড়তে উৎসাহিত করণ এবং বই পড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার রাজশাহী’র ভূয়সী প্রশংসা করেন।