আফরোজা নাইচ রিমা : ওআইসি এবং বঙ্গবন্ধুর কন্ঠস্বর কোথায় যেন এক ও অবিচ্ছেদ্য। ১৯৬৯সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ‘মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর’ হিসেবে এবং ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি প্রচারের চেতনা নিয়ে মুসলিম বিশ্বের অধিকার সুরক্ষায়’ কাজ করার জন্য গঠিত হয় ওআইসি ।অর্গানাইজেশন অভ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)৫৭টি সদস্যদেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা। প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা জাতিসংঘের পর সবচেয়ে বড় আন্তদেশীয় জোট এটা।
১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদুল আকসায় অগ্নিসংযোগ করে ইসরায়েল। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এ সময় ১৪টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিসরের রাজধানী কায়রোতে এক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বছরের ২২-২৫ সেপ্টেম্বর মরক্কোর রাবাতে ২৫টি মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সব রাষ্ট্রের প্রতিনিধির সিদ্ধান্তে ২৫ সেপ্টেম্বর ওআইসি গঠন করা হয়। মূলত আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ওআইসি গঠন করা হয়।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ মোট সদস্য দেশের সংখ্যা ৫৭। ১৯৭২ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ওআইসি। এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে ওআইসির সঙ্গে যুক্ত আছে পাঁচটি দেশ (রাশিয়া, বসনিয়া, থাইল্যান্ড, সিএআর ও তুর্কি সাইপ্রাস) এবং সাতটি সংগঠন ও সংস্থা। জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধিত্বমূলক সংস্থা হিসেবে ওআইসির একটি জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি দল রয়েছে।প্রতিবছর ওআইসিভুক্তপররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক এবং তিন বছর পরপর রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলন হয়।
মহাসচিবই ওআইসির নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। ওআইসির বর্তমান মহাসচিব আফ্রিকারদেশচাঁদেরসাবেকপররাষ্ট্রমন্ত্রীহুসেইনইব্রাহিমতাহা। সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মহাসচিব নির্বাচনে ভোট দেন। ওআইসি চার্টার অনুযায়ী একজন ব্যক্তি পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য সর্বোচ্চ দুইবার মহাসচিব হতে পারেন।ওআইসি মূলত সাতটি বিষয় নিয়ে কাজ করে – সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ইসলামি সংহতি বৃদ্ধি করা, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো, বর্ণবৈষম্যের মূলোচ্ছেদ এবং উপনিবেশবাদ বিলোপের চেষ্টা অব্যাহত রাখা, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি প্রয়োজনীয় সমর্থন দেওয়া, পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা বিধানের সংগ্রামকে সমন্বিত করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামকে সমর্থন করা। মুসলমানদের মান-মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং জাতীয় অধিকার সংরক্ষণের সব সংগ্রামে মুসলিম জনগণকে শক্তি জোগানো। সদস্য রাষ্ট্রগুলো এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমঝোতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসির তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ। এই সম্মেলনে যোগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে আয়োজিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের সমস্যা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক যুগান্তকারী বক্তব্য দেন।ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য মুসলমানদের অধিকার নিয়ে এ ভাষণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- আজকের আধুনিক মুসলিম নেতারা ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন বা চিন্তা করছেন, বঙ্গবন্ধু আরও আগেই এসব কথা বলে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালের অক্টোবরে চীন সফরে ‘শান্তি সম্মেলন’ যোগ দিয়ে বিশ্বের কাছে তৎকালীন সময়ে একটা কথাই বারবার তুলে ধরেছেন-বিশ্ব যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়। বর্তমানে বিশ্বের বৈশ্বিক কোলাহলেও রয়েছে এর গভীর গুরুত্ব। আর এ কারণেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্টনীতির ভিত্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ এ আহ্বানই ঘোষিত হয়েছে । শান্তির দিকনির্দেশক বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘ আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থে চীনাদের সভ্য সমাজব্যবস্থার সাথে সারাবিশ্বের স্হিতিশীলতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেছেন ।
বঙ্গবন্ধুর ওআইসিতে দেয়া তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন,” …বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের এখানে সমবেত ভাইদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ও আরব ভাইদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে তাদের সমর্থন ঘোষণার জন্য এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারায় আমরা খুবই আনন্দিত। সেক্রেটারি জেনারেলসহ অন্য যারা আমাদের ভাইদের পার্শ্বে আজ আমাদের উপস্থিতির আয়োজন করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন, আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। যে মহামান্য নেতারা আজ আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।…’’ এ থেকে একটি বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কারভাবেই ফুটে ওঠে যে, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের মুসলমানদের উন্নয়নের কথাই ভাবতেন না, বরং বিশ্ব মুসলমানের ঐক্যতার কথা্ও বলে গেছেন।ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের সাম্প্রতিক সম্মেলনে বিশেষ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইল সরকারের অপতথ্য এবং শত্রুতা’।
ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন যে , ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে। এই ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে আয়োজিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনের ভাষণে বলেন, “আমরা তাদের (ফিলিস্তিনিদের) ন্যায়সঙ্গত অধিকার অস্বীকার করতে দেখেছি। দুর্ভোগের মাঝে তাদের ঠেলে দিতেও আমরা দেখেছি। আর এসব অবর্ণনীয় যাতনার চূড়ান্ত নিদর্শন হয়ে আছেন আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা। আর এ জন্যই অতীতের তুলনায় আজ এ শক্তিকে প্রজ্ঞার সঙ্গে কাজে লাগানোর প্রয়োজন বেশি।” ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ওআইসিকে প্রজ্ঞার সাথে কাজে লাগাতে বলেছেন আর বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেছেন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের নিয়ে অপতথ্য না ছাড়ানোর জন্য। এককথায়,ওআইসি , বঙ্গবন্ধু এবং সময়ের সাম্প্রতিকতার এক উজ্জ্বল প্রতিফলন লক্ষ্যনীয় ।
এছাড়া, তথ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুন।১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে আয়োজিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন ,’’আমি বলতে চাই, সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে। আমরা এ উপমহাদেশে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যুগপৎ অবদান রাখার পথ উন্মুক্ত করেছি।’’ একইভাবে ,ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ইসরায়েলের বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধের জন্য একটি সহযোগিতামূলক ডিজিটাল প্ল্যাটর্ফম তৈরির প্রস্তাব করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন ওআইসিতে মুসলিম বিশ্বের সাথে অবস্থানের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ প্রাসঙ্গিকতাকেই উপস্থাপন করেছেন।
ফিলিস্তিন সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে আছে। তাঁর ভাষায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে স্পষ্টভাবে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা গণহত্যা বা জেনোসাইড বা জাতিনিধনযজ্ঞ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধ করা ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর উদ্যেগ নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর ওআইসিতে দেয়া তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের এক জায়গায় বলেন, “ আজকের মতো মানবজাতি ইতোপূর্বে কখনও এত বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়নি। একদিকে ভয়াবহ বিপদ আর অপরদিকে জীবনের মানোন্নয়ন সৃজনশীল বিপুল সম্ভাবনা- বিশ্বের মানুষ ইতঃপূর্বে এমন পরিস্থিতির দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়নি। মানুষ এখন বস্তুগত দিক থেকে বৃহত্তর শক্তি অর্জন করেছে যা সে আর কখনও করতে পারেনি। সে পৃথিবীকে ধ্বংস করার ক্ষমতা অর্জন করেছে। আমরা যুদ্ধের জন্য শক্তি অপব্যবহার করতে দেখেছি, জনগণকে নিপীড়ন করতে দেখেছি ‘’।
উল্লেখ্য , ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজায় যা ঘটেছে তা ধর্ম, দেশ, জাতিসত্তার উর্ধ্বে। সেখানে মানবিকতা পরাজিত হচ্ছে। সেখানে অবিশ্বাস্যভাবে নারী-শিশু হত্যা করা হচ্ছে, বেসামরিক ব্যক্তিরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। গাজায় জনসাধারণের স্বাধীনতা নেই। এ বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিবৃতিতে না গিয়ে, বিতর্ক না করে বিশ্বের কাছে সত্য তুলে ধরতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও গতিশীল নেতৃত্বের অধীনে, ‘স্থায়ী শান্তি, সমতা ও উন্নয়নের জন্য ইসলামি মূল্যবোধ’ রূপরেখা প্রণয়নে ফিলিস্তিনের সমস্যা ও রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবিক মূল্যবোধ বিবেচনায় নিয়ে মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব প্রদান করায় ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অবদান উল্লেখযোগ্য।
২০১৯ সালে অর্গানাইজেশন অভ ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি)পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৬তম কাউন্সিল আয়োজনের চেয়ার হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ওআইসি সদর দফতরে আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদলের কাছে এটি হস্তান্তর করে জেদ্দায় বাংলাদেশ দূতাবাসে।সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসি শ্রমমন্ত্রীদের চতুর্থ ইসলামি সম্মেলনে দুই বছরের জন্য সংস্থাটির লেবার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় জোট অর্গানাইজেশন অভ ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ২০১৮ সালের বৈঠক হয় ঢাকায়। প্রায় তিন দশক পর ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাংলাদেশে হয়। বাংলাদেশের সাথে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর সম্পর্কের যে-জয়যাত্রা হয়েছিল তাঁর বীজটি বপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু আমাদের অতীত, বর্তমান ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। সেই উজ্জ্বলতার আলোকসম্পাতে আলোকিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর সাথে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের হাত ধরে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সুর মিলিয়ে তাই বলা যায় ‘ধ্বংস নয় সৃষ্টি,যুদ্ধ নয় শান্তি, দুর্ভোগ নয়, মানুষের কল্যাণে আমাদের কাজ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বের সর্বচ্চো সহযোগিতা সংস্থা ও আইসির মাধ্যমে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট ও জনগণের কল্যাণকামী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। একইসাথে মুসলমানদের শান্তি , নিরাপত্তা, মর্যাদা, স্বাধীনতা ও জাতীয় অধিকার রক্ষার্থে ওআইসি’র ভূমিকা হবে অনস্বীকার্য ।
#
লেখিক : উপ-প্রকল্প পরিচালক,গণমাধ্যমের সাথে সমন্বয় ও উন্নত সেবা প্রদান প্রকল্প,তথ্য অধিদফতর,বাংলাদেশ সচিবালয়,ঢাকা।
পিআইডি ফিচার