চৈত্রের বৃষ্টি চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের জন্য আশীর্বাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে সারাদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিকে আমের জন্য আশীর্বাদ বলছেন আম চাষিরা। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গড়ে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ সদর উপজেলায় ৩০ মিলিমিটার, শিবগঞ্জে ৮, গোমস্তাপুরে ১৫ ও ভোলাহাটে ২০ মিলিমিটার। বুধবার (২০ মার্চ) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকে।

আম চাষী ইয়াসিন আলী বলেন, চলতি মৌসুমে তার ২২ বিঘা জমিতে আমের বাগান রয়েছে। শতকরা ৭৫-৮০ ভাগ গাছে মুকুল থেকে আমের গুঁটি বের হয়েছে। সবগুলো গাছের গোড়ায় সার দেয়া ছিল। যেখানে গভীর নলকুপ থেকে সেচ দিতে খরচ হত ৪০ হাজার টাকার উপরে। সে খরচ তিনি বেঁচে গেলেন। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত আমের জন্য বৃষ্টির পানি পেলেন।

আরও পড়ুনঃ   নাটোরের সাবেক এমপি শিমুলসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ-সম্পাদক ইসমাইল হোসেন শামীম বলেন, যে আমের মুকুলগুলো এখনও ছোট, সেগুলোতে ক্ষতি হবে। কিন্তু যে মুকুলের গুটি এসেছে সেগুলোর উপকার করবে আমের জন্য বৃষ্টি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চৈত্র মাসের বৃষ্টি আমের জন্য দারুণ উপকার হবে। কিন্তু আগে সেসমস্ত গাছে মুকুল হয়েছিল, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তবে যেসব গাছের গোড়ায় সার দেয়া হয়েছিল, ওইসব বাগানে বৃষ্টি হওয়ায় শক্ত হবে গাছের ডগা।

আরও পড়ুনঃ   সালথায় নিজ দোকানে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে এই জেলায় প্রায় ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। এবার জেলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম। গত মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায়ই কম বেশি আমের চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়।