নাসরীন মুস্তাফা : বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, যা সরকারের অনুসৃত নীতি ও উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে প্রচার-প্রচারণামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করছে। পাকিস্তান আমলে এসব কার্যক্রম কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা তথ্য ও জাতীয় বিষয়ক দফতরের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা বিভাগ এই দায়িত্ব পালন করত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দফতরটিকে সমন্বয় করে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা দপ্তর গঠন করা হয় ১৯৭৬ সালের ২১শে জুন। পরবর্তীতে এর উন্নতি ঘটে অধিদপ্তর হিসেবে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বা Department of Films & Publications-কে সংক্ষেপে ডিএফপি(DFP)নামে পরিচিত।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে ধারাবাহিক সম্পৃক্ততার ফলেই ডিএফপি’তে খুঁজে পাওয়া যায় পাকিস্তান আমলের নানা প্রকাশনা। এভাবেই খোঁজ মিলেছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলায় ‘পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র’ এবং ইংরেজিতে ‘White Paper on the Crisis in East Pakistan’ শীর্ষক প্রকাশনা। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জানার জন্য অত্যন্ত সহায়ক দুই ফরমেটে শ্বেতপত্রের প্রকাশনার পুনর্মুদ্রণ করেছে ডিএফপি। ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলায় এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইংরেজিতে প্রকাশিত হওয়া এই শে^তপত্রের পুনর্মুদ্রণের মাধ্যমে পাকিস্তানপ্রেম থেকে ইচ্ছেকৃতভাবে স্বাধীনতার ঘোষক অমুক তমুক বলে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যস্ত যেসব কুলাঙ্গার, তাদের বাড়া ভাতে কীভাবে ও কী পরিমাণে ছাই ঢেলে দিয়েছে পেয়ারে পাকিস্তান, তার অনুধাবন খুব সহজ হয়ে যায়। ইতিহাসের এই জরুরি পাঠে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা জাতীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত বলে মনে হয়েছে।
কোন প্রেক্ষাপটে এটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেই আলাপ শুরুতে করে নেওয়া জরুরি। তাহলে কেনো এটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেটি বুঝতে সুবিধা হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। এর ফলে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকেই জাতিগত বৈষম্য নীতি অনুসরণ করা পাকিস্তান সরকার ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা ঘটিয়ে পাকিস্তান সরকার মূলতঃ দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অধিকারবঞ্চিত বাঙালির সামনে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথকে উন্মুক্ত করেছিল। এরপরও অপরাধীর চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী কৃতকর্মের পক্ষে সাফাই গাওয়ার পাশাপাশি নানারকমের কসরত করেও নিজেদের অপকর্মের তথ্য প্রকাশকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। বিদেশি গণমাধ্যমে নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির উপর সংগঠিত গণহত্যার নানা তথ্য আসতে শুরু করলে দেশে দেশে, এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানের ভেতরেও ধিক্কার ধ্বণি জোরালো হচ্ছিল দিনকে দিন। অতঃপর ‘ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনি’ প্রবচনের মতো সব দোষ আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ও সুস্পষ্টভাবে নাম উল্লেখ করে তাঁর কয়েকজন সহচরের ঘাড়ে চাপিয়ে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্ট তারিখে ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করেছিল। নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র’।
প্রকাশনাটির প্রচ্ছদে ‘পাকিস্তান সরকার’ লেখা ও এর নিচে সরকারের লোগো, এরও নিচে লেখা ‘পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র’ এবং সবশেষে ছিল প্রকাশের তারিখ। সূচিপত্রে ভূমিকা এবং পাঁচটি অধ্যায়ের উল্লেখ, প্রথম অধ্যায়ে ‘সংঘর্ষ অভিমুখে’, দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘সংকট ঘনীভূত হলো’, তৃতীয় অধ্যায়ে ‘পূর্ব পাকিস্তানে সন্ত্রাস’, চতুর্থ অধ্যায়ে ‘হিন্দুস্তানের ভূমিকা’ এবং পঞ্চম অধ্যায়ে ‘উপসংহার’ শিরোনামে যা বলা হয়েছিল, তাতে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত থেকে সামরিক সরকার কর্তৃক গ্রহীত পদক্ষেপসমূহের ব্যাখ্যা ও বিবরণের মাধ্যমে কীভাবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতা শেখ মুজিবুর রহমান হিন্দুস্তান অর্থাৎ ভারতের (শে^তপত্রে কোথাও ভারত বলা হয়নি, বলা হয়েছে ‘হিন্দুস্তান’) যোগসাজশে নিরীহ পাকিস্তান সরকার ও নাবালক পাকিস্তান সরকারের মিত্র এদেশীয় দোসরদের সন্ত্রাসী কায়দায় মেরেকেটে একাকার করছিল, এর ‘আজগুবি’ বয়ান।
আজগুবি কেনো বলছি? উদাহরণ হিসেবে বলি, শে^তপত্রে নানাভাবে বলা হয়েছে বাঙালিরা হাজার হাজার বিহারিকে হত্যা করেছিল। যদিও সেই সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং পরবর্র্তীতে পাকিস্তানি জেনারেল ও রাজনীতিবিদদের লেখা থেকে এসব তথ্যের কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও পাকিস্তানের এই শে^তপত্রের বিশ^াসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। শে^তপত্রের তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত, তবে এর উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ডিএফপি শে^তপত্রটি পুনরায় মুদ্রিত করে সেই উদ্দেশ্যকে প্রশ্নাতীতভাবে তুলে এনেছে যে, বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিভ্রান্ত করার কূটকৌশল ছিল শে^তপত্র প্রকাশ করা।
তৃতীয় অধ্যায়ের শিরোনামটি ‘পূর্ব পাকিস্তানে সন্ত্রাস’। অর্থাৎ মহান মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানের কাছে ‘সন্ত্রাস’! এই অধ্যায়ে মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে পূর্ব পাকিস্তানে ঘটমান ‘সন্ত্রাস’ এর বিবরণ দেওয়া হয়েছে, যার শেষ ঘটেছে ২৫শে মার্চ তারিখে এসে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ পাকিস্তান অনুবাদে দাঁড়িয়েছিল ‘শেখ মুজিবুর রহমান একটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার চালাবার কথা ঘোষণা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি নির্দেশ জারী করেন’। বাঙালির নেতার তর্জনীর নির্দেশেই সবকিছু চলছিল, একথা স্বীকার করে নিয়েছে পাকিস্তান, যার প্রমাণ শে^তপত্রে বর্ণিত ঘটনার পাকিস্তানি বয়ান। তবে এরা সরাসরি স্বীকার করেনি ২৫শে মার্চের কালরাতে যে গণহত্যা তারা ঘটিয়েছিল, তার কথা, যদিও নানা বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের ফরমায়েশি সংবাদের সূত্র দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছে, সেনাবাহিনী যা করেছিল ঠিক করেছিল। মধ্যরাতে কেনো সামরিক বাহিনী নামিয়ে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে হ’ল এবং এরপর যুদ্ধের নামে নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করা হ’ল, এইসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে পাকিস্তান সরকারকে। ভেবেছে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের ভূমিকাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করলে সবাই সব প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবে। শে^তপত্রের ‘ভূমিকা’ অংশটি পড়লেই এর সত্যতা বোঝা যায়, যেখানে বলা হয়েছে, ‘এই শে^তপত্র পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান সংকটময় ঘটনাবলির সর্বপ্রথম পূর্ণ বিবরণ।’
ঘটনার বিকৃত ব্যাখ্যাকে সত্যের নামে উপস্থাপন করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের ‘গোয়েবলসীয়’ কৌশল পাকিস্তান সরকার দেশভাগের পর থেকেই শুরু করেছিল, ১৯৭১ এ তা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে এবং এখনও এর ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর ভেতর দিয়ে সূর্যের মতো স্পষ্ট হয়েছে ইতিহাসের সত্য-বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষককে। ‘সংঘর্ষ অভিমুখে’ শিরোনামের প্রথম অধ্যায়টি বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে চাওয়া শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিষোদগারে ভরপুর। বিদেশি পত্রিকার খবরের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে তিনি পৃথক রাষ্ট্র চাইছেন, সেই রাষ্ট্রের নাম “বাংলাদেশ’ কিংবা বঙ্গভূমি’ হতে পারে। এর পতাকাও বানানো হয়ে গেছে।’ অধ্যায়টি শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের টাইম পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, যেখানে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানিদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘আমি তাদেরকে পঙ্গু করে দেব এবং তাদেরকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করবো।’’এরপর শে^তপত্রের লেখকদের বয়ান হচ্ছে, ‘এ ধরণের একটি বিবৃতির পর সোজাসুজি স্বাধীনতা ঘোষণা আর অতি নাটকীয় কিছু নয়।’ বলা হয়েছে, শেখ মুজিব ২৫শে মার্চ বিপ্লবী সেনাবাহিনীর কমান্ডার পদে জেনারেল ওসমানিকে নিয়োগ দেন, অর্থাৎ পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন। অথচ একবারও বলা হয়নি, ২৫শে মার্চের গণহত্যার পর বাঙালি প্রাণের ভয়ে সীমানা পেরিয়ে ভারতে ( পাকিস্তানের বর্ণনা মতে ‘হিন্দুস্তানে’) পালিয়ে যাচ্ছিল। বললেই তো থলের বেড়াল বেরিয়ে যেত।
এর শাস্তি হিসেবেই কি ২৫শে মার্চের গণহত্যা ঘটিয়েছিল পাকিস্তান সরকার? দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘সংকট ঘনীভূত হলো’ শিরোনামে ২৫শে মার্চের ঘটনাবলির পাকিস্তানি পর্যালোচনার শেষ লাইনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক ২৬শে মার্চ ভোরে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহ করার পরিকল্পনার কথা ‘জানা গেল’ পড়ে বুঝতে কষ্ট হয় না, এর প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সরকার তা করেছিল ঠান্ডা মাথায়। চতুর্থ অধ্যায়ে ‘হিন্দুস্তানের ভূমিকা’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি হিন্দুস্তানের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে অপরাধবোধ আড়াল করা চেষ্টা দৃশ্যমান।
পুনর্মুদ্রিত শে^তপত্র প্রমাণ করেছে আরও কয়েকটি তথ্য। পাকিস্তান সরকারের রাগ শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কয়েকজনের নাম স্পষ্টভাবে বলেছে তারা – তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে মেজর জেনারেল এম এ জি ওসমানি এবং মেজর জেনারেল আব্দুল মজিদ ওপর পড়লেও জিয়াউর রহমান একেবারেই অনুচ্চারিত নাম। স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কে উলম্ফনকারীদের কি একবারও আত্মজিজ্ঞাসা জাগে না, পাকিস্তান সরকার কেনো জিয়াউর রহমানের বিষয়ে কিছু বলেনি? বলেনি, কেননা তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, এটা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। আরেকটি সত্য গুরুত্বপূর্ণ Ñ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করার পর তাঁকে ছোটো করতে পাকিস্তানি ভাবধারায় মুক্তিযুদ্ধে অনুল্লেখ্য অবদান রাখা বা না রাখা বহু নেতা বা ব্যক্তির ভূমিকাকে বিশাল করে দেখানোর অপচেষ্টা চলেছিল। শে^তপত্রের পুনর্মুদ্রণ প্রমাণ করে দিল, সত্যিকারভাবে কারা স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নায়ক ছিলেন।
সাতটি পরিশিষ্টে প্রেসিডেন্টের নীতি-নির্ধারণী ভাষণসমূহের অংশবিশেষ, ১৯৭০ এর আইনকাঠামো আদেশ, আওয়ামী লীগের ছয় দফা, ১৯৭১ এর মার্চ মাসে প্রদত্ত আওয়ামী লীগের নির্দেশনাবলি, আওয়ামী লীগের খসড়া ঘোষণাপত্র, ১৯৬২ সালের পাকিস্তান প্রজাতন্ত্রের শাসনতন্ত্র এবং প্রধান প্রধান নৃশংসতার তালিকা তুলে ধরা হয়। সবশেষে সংক্ষিপ্ত শব্দের তালিকা। ‘পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র’ এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে মূল প্রকাশনার প্রচ্ছদসহ বাক্য ও পুরাতন বানান অবিকৃত রেখে পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডিএফপি কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। পুনর্মুদ্রনের মুখবন্ধে বলা হয়েছে, ‘আশা করি, ইতিহাসবিদ এবং নতুন প্রজন্ম এ শে^তপত্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত সময়ের ঘটনাবলি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।’
‘পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র’ এবং ‘White Paper on the Crisis in East Pakistan’ শীর্ষক প্রকাশনার প্রতিটির দাম ছিল সেসময় দুই রুপি। পুনর্মুদ্রণের পর প্রতিটি মাত্র একশ’ টাকায় ডিএফপি’র প্রধান কার্যালয় সার্কিট হাউজ রোডস্থঃ তথ্য ভবনে অবস্থিত বিক্রয় কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু জরুরি হচ্ছে সারা দেশে অবস্থিত তথ্য অফিসসমূহে এবং প্রতিটি বই বিক্রয় কেন্দ্রসহ অনলাইন বুকশপে পাওয়া যেতে হবে। এর পাশাপাশি ডিএফপি’র কাছে অনুরোধ এই শ্বেতপত্রের ই-বুক ভার্সন ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক্, যাতে সত্যিই উপরোক্ত আশাবাদ সার্থক হয়ে ওঠে।
#
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার