ছিনতাই হওয়া জাহাজ ‘আবদুল্লাহ’ উদ্ধার অভিযানের প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক : সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে এবার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনী। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত সপ্তাহে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী।

সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকার পুলিশ বাহিনী বলছে, এরই মধ্যে তারা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এবার হামলা চালানোর পালা। পুন্টল্যান্ড এলাকাটি জলদস্যুদের ‘আঁতুড়ঘর’ হিসেবেই পরিচিত। এ কারণে এর প্রশাসন এবার কঠোর হয়েছেন। জারি করেছেন বিশেষ সতর্কতা।

জলদস্যুদের কবলে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে বিস্ফোরণের শঙ্কাজলদস্যুদের কবলে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে বিস্ফোরণের শঙ্কা
এর আগে রবিবার পুন্টল্যান্ড এলাকার পুলিশ বাহিনী জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুদের মাদক সরবরাহ করতে যাওয়া একটি যান তারা জব্দ করেছে।

আরও পড়ুনঃ   খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে আজ বাসায় ফিরছেন

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত শনিবার উদ্ধার করা হয় জলদস্যুদের ছিনতাই করা আরেক জাহাজ এমভি রুয়েন। ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা পণ্যবাহীটি থেকে ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। ছিনতাই করা পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধারের সেই রুদ্ধশ্বাস অভিযানের কাহিনী এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।

আরও পড়ুনঃ   স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মচারীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।

জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এস আর শিপিং। এজন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।