অনলাইন ডেস্ক : সিরিজ জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে একে একে উইকেট বিলিয়ে দিচ্ছেন টাইগার ব্যাটাররা। দলীয় ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে লঙ্কান বোলার নুয়ান থুসারা একাই ৩ উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিক করেছেন।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ রান করে প্রথমেই আউট হন ওপেনার লিটন দাস। এরপরই যেন বাংলাদেশকে চেপে ধরে শ্রীলঙ্কার বোলাররা। দলীয় ১৩ রানে ১ উইকেট হারানোর পর মাত্র ২ রান যোগ করতেই আরো ৩টি উইকেটের পতন ঘটে। শ্রীলঙ্কার বোলার নুয়ান থুসারা করে ফেলেন হ্যাট্রিক।
৪ উইকেট হারানোর পর সৌম্য সরকার এবং জাকের আলী বেশি দূর এগোতে পারেননি। দলীয় ২৪ রানে আউট হয়ে ফিরে যান সৌম্য।
শেষ খবর পর্যন্ত ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ রান। ক্রিজে আছেন জাকের আলী ও মেহেদী হাসান।
এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টসভাগ্য সহায় ছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও তিনি প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন।
বাংলাদেশ শুরু করে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে (১২ বলে ৮) ফেরান তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১২ করে কামিন্দু মেন্ডিস হন রিশাদ হোসেনের শিকার।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (১৩ বলে ১৫) কিংবা চারিথ আসালাঙ্কার (৫ বলে ৩) মতো ব্যাটারদেরও মারমুখী হতে দেয়নি টাইগাররা। তবে একাই বলতে গেলে লড়াই চালিয়ে যান কুশল মেন্ডিস। ৫৫ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৬৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দেন কুশল। শেষ পর্যন্ত তাকে থামান তাসকিন আহমেদ। তবে ততক্ষণে ১৭তম ওভারে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪০ হয়ে গেছে। শেষদিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৭ বলে ১০ আর দাসুন শানাকার ৯ বলে ১৯ রানে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। রিশাদের ২ উইকেট শিকার ৩৫ রানে। শরিফুল ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় একটি উইকেট পান। মোস্তাফিজুর রহমানও একটি উইকেট নেন। তবে তিনিই ছিলেন দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার, চার ওভারে দেন ৪৭।